দিল্লি, ৩০ অক্টোবর – ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পর্ষদের সভাপতি এবং সচিব। সূত্রের খবর, সোমবার শীর্ষ আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে নিজাম প্যালেসে হাজির হন পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল। টানা ৫ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরা করা হয়েছিল পর্ষদের সচিবকেও।
ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় গত ১৮ অক্টোবর সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে পেশ করা সিবিআইয়ের ওই রিপোর্টে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর কোনও কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। এমনকী পর্ষদের কাছে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তাঁরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকেই ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে চালানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেও বর্তমান বোর্ড সদস্যরা এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকেই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। তাই তাঁদের জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিচারপতি।
Advertisement
এরপরই দুর্গা পুজোর চতুর্থীর দিন সন্ধে ৬টার মধ্যে পর্ষদ সভাপতি, সচিবকে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এও জানিয়েছিলেন, সিবিআই মনে করলে পর্ষদ সভাপতি, সচিবকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এরপরই রক্ষা কবচ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পর্ষদ সভাপতি ও সচিব।
Advertisement
Advertisement



