গিরিরাজ  নয় তৃণমূলের জবাবের ভার এবারও সাধ্বী নিরঞ্জনার ওপর 

Written by Sunita Das October 2, 2023 5:50 pm

দিল্লি, ২ অক্টোবর– তৃণমূলের ধর্ণা সভায় উত্তাল দিল্লি। কাজের বকেয়া না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর কর্মী তথা ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৌঁছেছে দিল্লি। বাংলার তৃণমূল সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার বার-বার চেয়েও তাদের ১০০ দিনের টাকা মেটাচ্ছেন না। আর তাই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের। তৃণমূল জানিয়েছে, গত মার্চ এবং এপ্রিল থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা চেয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় দু’বার লোকসভায় লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন, খাদ্য, গণবণ্টন এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের কাছে। কিন্তু দু’বারই পূর্ণ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ নন, উত্তর দেওয়ার জন্য এগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে। দু’বারই লিখিত জবাবে সাধ্বী জানিয়েছিলেন কেন বাংলাকে বকেয়া অর্থ দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, এ বারও নিরঞ্জন জ্যোতিকে এগিয়ে দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

তবে দিল্লিতে মঙ্গলবার তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ালেও সোমবার সকাল থেকে এক্স হ্যান্ডলে একাধিক পোস্ট করে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেছেন গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।

আগামী মঙ্গলবার তৃণমূল নেতৃত্ব চেয়েছিলেন গিরিরাজের সঙ্গেই দেখা করতে। কিন্তু গিরিরাজের বদলে জবাব দেন সাধ্বী। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সেই নিরঞ্জনকেই এ বার সামনে রাখার কৌশল নিয়েছে মোদি সরকার। নিরঞ্জনাকে এগিয়ে দেওয়ার পেছনে অবশ্য বিজেপি সরকারের গভীর বুদ্ধি কাজ করছে। প্রথমত নিরঞ্জন মহিলা, তায় গেরুয়াধারী। দ্বিতীয়ত, তিনি উঠে এসেছেন দলিত সমাজ থেকে। ফলে তাঁর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে পারবেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। আর যদি তৃণমূল সংঘাতে যায়ও, তা হলে তা হয়ে উঠবে বিজেপির তুরুপের তাস ।

সাধ্বী প্রসঙ্গে লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “গিরিরাজ সিংহকে বিশেষ অনুরোধ করি ৩ তারিখ দিল্লিতে আমাদের সময় দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখনই মন্ত্রী ইঙ্গিত দেন তিনি থাকবেন না।’’ দিন দু’য়েক আগে কেন্দ্রের তরফে তৃণমূলকে জানানো হয়, গিরিরাজ নন, সাধ্বীই থাকবেন তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার জন্য। গিরিরাজের দেখা না করা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে সোমবার সুদীপ বলেন “শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো বঙ্গের বিজেপি নেতারা প্রবল চাপ দিয়ে রেখেছেন গিরিরাজকে।  অথচ তাঁদেরও তো উচিত ছিল বাংলার দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছ থেকে রাজ্যের ন্যায্য পাওনা আদায় করা। তা না করে রাজ্যবাসীকে বঞ্চনা করছেন।’’