শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন

Written by SNS May 3, 2023 5:45 pm
মুম্বাই , ৩ মে – মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বুধবার শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান । সেখান থেকে বেরিয়ে দলের নেতৃত্ব নিয়ে ‘সম্ভাব্য পরিবর্তনের’ কথা জানান তিনি। ছগনের দাবি, শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে দলের পরবর্তী সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন । অজিত পাওয়ার  পেতে পারেন মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব। অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলও বুধবার শরদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কেউই জানতাম না যে উনি এ ভাবে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করবেন। আমি ওঁকে বলেছি, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য দু’-তিন দিন যথেষ্ট নয়। আরও সময় নিন’’  .
শরদ পাওয়ারের এনসিপি সভাপতি পদ ছাড়ার পরে দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদাধিকারী এবং কর্মীরা পদত্যাগ করছেন। এই প্রবণতা আটকাতে স্বয়ং শরদ পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি প্রফুল্লর। বুধবার শরদের ঘনিষ্ঠ বিধায়ক জিতেন্দ্র আওহাদ এবং শোলাপুর জেলা এনসিপির সভাপতি ভূষণ বাঘেল পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
ছগন বুধবার বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র দেখার জন্য অজিত রয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে শরদজি যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন, তা পালনের জন্য এক জনকে চাই। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিয়াকে ই সকলের  পছন্দ। যদিও মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পদে থাকা অজিতের হাতে সে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বও শরদ তুলে দেবেন কি না, তা নিয়ে এনসিপি নেতৃত্বের একাংশের মনে প্রশ্ন রয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে লোকসভা ভোটের আগে দলের নেতৃত্ব তিনি ছাড়বেন না। সব স্তরের নেতা-কর্মীদের আনুগত্য  লাভ করতেই  পোড় খাওয়া রাজনীতিক এই পদক্ষেপ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর ‘নিশানা’ নিজের ভাইপো। কারণ, কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল কাকাকে ছেড়ে বেশ কিছু এনসিপি বিধায়ককে নিয়ে আবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন অজিত।
গত সেপ্টেম্বরে এনসিপির জাতীয় অধিবেশনে দলের সভাপতি হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সে দিন মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে চলে যান অজিত। তার পর থেকেই দু’জনের সমীকরণ নিয়ে জল্পনা জাল বুনছে । এনসিপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, শরদ চান কন্যা সুপ্রিয়ার হাতে দলের কর্তৃত্ব তুলে দিতে। কিন্তু অজিত শিবির তা মানতে নারাজ। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক ডামাডোলের পরিস্থিতি এনসিপির অন্দরে।