ইমরানকে ‘বাঁচাতে’ পুলিশের হাতেই  মার খেল পুলিশ

Written by SNS March 16, 2023 5:10 pm

ইসলামাবাদ, ১৬ মার্চ– ইমরানই যেন এখন পাকিস্তানের একমাত্র খবর। গত কয়েকদিন ধরে ইমরানের গ্রেফতারি নিয়ে চলছে রুদ্ধশ্বাস নাটক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচাতে এর আগে তাঁর সমর্থকদের তান্ডব দেখেসে লাহোর। আদালতের আদেশ সত্বেও গ্রেফতার করা যায়নি। কিন্তু এতো সব ঘটনাকে টপকে গেল এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বাঁচাতে পুলিশের অবস্থান। এবার নাকি ইমরান প্রসঙ্গে পুলিশকেই পেটাল পুলিশ। এই ঘটনায় আবারও পাক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্দরের সংঘাত স্পষ্ট।

তোষাখানা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে পাক আদালত। সেই বিষয়ে দিনদুয়েক ধরেই লাহোরের জামান পার্কে ইমরান খানের বাড়ি কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ইমরানকে গ্রেফতার করতে বুধবার তাঁর বাড়ির কাছে পৌঁছে য়ায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে বাধা দিতে হাজির হন তাঁর সমর্থকরা। ইট, পাথরের বৃষ্টি হতে থাকে পুলিশের উপরে। পুলিশও পালটা ছুঁড়তে থাকে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার উত্তেজনা শেষে পিছু হটে পাক পুলিশ। এরপরই লাহোর হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ইমরানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো যাবে না।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ইমরান খানকে ‘বাঁচাতে’ ইসলামাবাদ পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ ও পাক রেঞ্জারদের উপর হামলা চালায় গিলগিট-বাল্টিস্তানের পুলিশ বাহিনী। এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ। এদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গিলগিট-বাল্টিস্তানের পুলিশ বাহিনীর আইজিপি মহম্মদ সইদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দার আলি খান খট্টককে। দায়িত্ব নিয়েই ইমরানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গিলগিট-বাল্টিস্তান পুলিশের কর্মীদের জামান পার্ক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন খট্টক।

যদিও পুলিশের এই পুলিশ পেটানো ঘটনাকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এক শীর্ষ নেতার স্পষ্ট কথা, “আমরা পাঞ্জাব পুলিশকে বিশ্বাস করি না। ইমরান খানের নিরারত্তার জন্যই গিলগিট-বাল্টিস্তান পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারা কোনও বেআইনি কাজ করেনি।” উল্লেখ্য, গিলগিট-বাল্টিস্তান হচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে।