পাটনা, ২ সেপ্টেম্বর– মোদি সরকার শীতকালীন অধিবেশনের আগেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। আর সেই অধিবেশন নিয়ে সরগরম বিরোধী রাজনীতি। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম সারির নেতারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন এই অধিবেশন ডাকার উদ্দেশ্য নিয়ে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ‘অকাল লোকসভা ভোটের বার্তা’ দিয়েছিলেন। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘কিছু দিন পরেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে, এরা ডিসেম্বরে না লোকসভা নির্বাচন করে দেয়! জানুয়ারিতেও করে দিতে পারে। এদের কেউ বিশ্বাস করতে পারে না।’
এবার সেই একই সুর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের গলায়। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক শেষে মুম্বই থেকে পটনা ফেরার পরে নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শনিবার সকালে।সেখানেই তিনি বলেন, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের এই বিশেষ অধিবেশনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। আমি কিছু দিন ধরেই বলে আসছি, লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা হবে। সেপ্টেম্বরে সংসদের বিশেষ অধিবেশন এই উদ্দেশ্যেই।’
Advertisement
যদিও বিজেপির একটি সূত্র অকাল লোকসভা ভোটের সম্ভাবনা খারিজ করেছে। ওই অংশের দাবি, ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধন হবে। তার পরে ধূমধাম করে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। জানুয়ারির শেষে প্রাক্-নির্বাচনী বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) পেশ হবে। প্রত্যাশিত ভাবেই বাজেট ভোটমুখী হবে। থাকতে পারে আরও কিছু চমক!
Advertisement
আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানে ‘এক দেশ এক ভোট’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিল পেশ হতে পারে বলে জল্পনা। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলেননি নীতীশ। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারও জেডিইউ নেতা নীতীশ অকাল লোকসভা ভোটের বার্তা দিয়েছিলেন। নালন্দায় একটি কর্মসূচিতে তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপি ভয় পাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী ঐক্য আরও দৃঢ় হয়ে উঠবে। তাই ওরা লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে— সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে ২৩ মে ফল ঘোষণা হয়েছিল। মমতা ও নীতীশ— দু’জনেই এর আগেও লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। নীতীশ তাঁর সরকারের আমলাদের দ্রুত কাজ শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
Advertisement



