দিল্লি, ৭মে– দিল্লিতে নীতি আয়োগের শনিবারের বৈঠকে ক্রমশই দীর্ঘতর হচ্ছে ‘বয়কটকারী’ মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অববিন্দ কেজরীওয়াল, ভগবন্ত মান না থাকার সিদ্ধান্ত জানান। এ বার নীতীশ কুমার এবং কে চন্দ্রশেখর রাও। সঙ্গে এমকে স্ট্যালিন, পিনারাই বিজয়ন, অশোক গহলৌতও।
এই প্রবণতাকে দিল্লিতে ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের জারি করা বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) ঘিরে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে আগেই জানা গিয়েছিল। গত ১৫ মে নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
Advertisement
পাশাপাশি, নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে ক্ষোভের কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছিল, রাজ্য প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসাবে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কোনও মন্ত্রী কিংবা শীর্ষ আমলা। শুক্রবার, নীতি আয়োগের বৈঠকের ঠিক আগের দিন জানা যায়, বৈঠকে ‘গরহাজির’ থাকতে চলেছে রাজ্য। অর্থাৎ, রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধিই থাকছেন না শনিবারের বৈঠকে।
Advertisement
আম আদমি পার্টি (আপ)-র দুই মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লির অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং পঞ্জাবের ভগবন্ত মানও শুক্রবার নীতি আয়োগের বৈঠক ‘বয়কট’ করার কথা জানান। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীকে চিঠিও লেখেন কেজরী। শনিবার সকালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র প্রধান চন্দ্রশেখর, তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও একই পথে হাঁটার কথা ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী, সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন এবং রাজস্থানের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও দিল্লিতে মোদীর বৈঠকে যাচ্ছেন না। তবে না যাওয়ার কারণ হিসাবে ‘অন্য কর্মসূচির’ কথা জানিয়েছেন বিজয়ন। গহলৌহ দিয়েছেন ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণ’। তবে অন্তত ৮টি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Advertisement



