হীনম্মন্যতায় ভুগতেন কপিলা

দিল্লি থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তিনি এখন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা৷ মুম্বাই কেমন লাগছে, জানতে চাইলে একগাল হেসে বলেন, ‘সত্যি বলতে, দারুণ লাগছে! মুম্বাই শহরটা অদ্ভুত৷ সব সময় এনার্জেটিক৷ আর সবচেয়ে বড় কথা, শহরটা অত্যন্ত নিরাপদ৷ অনেক বেশি রাতে আমি হাঁটতে বের হয়েছি বা অটো করে ঘুরে বেড়িয়েছি৷ কিন্ত্ত এতটুকু অসুবিধা হয়নি৷ আমার দিল্লির বন্ধুরা অবাক হয়, এত রাতে আমি এখানে একা চলাফেরা করছি!’
পেশাগত ও ব্যক্তিগত দিক থেকে সব সময় সাহসিকতা দেখিয়েছেন কপিলা৷ এই শক্তি তিনি তাঁর পরিবারের থেকে পেয়েছেন বলে জানান৷ তাঁর কথায়, ‘আজ আমি আমার জীবনের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যে সাহসিকতা দেখিয়েছি, তা আমার বেড়ে ওঠার কারণে৷ আমি আমার আশপাশে মা–কাকিমাদের মতো শক্তিশালী নারীদের পেয়েছি৷ আমার বন্ধুরা আমাকে শক্তিশালী করে তুলেছে৷ সিনেমার জগতে এসে শিল্পা ম্যামের (শেঠি) মতো শক্তিশালী নারীর সান্নিধ্য পেয়েছি৷ তাঁরা প্রত্যেকে আমাকে শক্তিশালী করেছেন৷’ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হরহামেশাই বিদ্রূপের মুখোমুখি হতে হয় কপিলাকে৷ এ সম্পর্কে হতাশার সুরে কপিলা বলেন, ‘মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নয়৷ দিল্লির পথ থেকে মেট্রো—সব জায়গায় মেয়েদের নানাভাবে হেনস্তা হতে হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকাদের ট্রল হতে হয়৷ একসময় ট্রলিংয়ের কারণে আমি হীনম্মন্যতায় ভুগতাম৷’এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এখন এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না৷ আমি বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টার মাধ্যমে এসব উড়িয়ে দিই৷ আমি মনপ্রাণ দিয়ে শুধু নিজের কাজটা করে যেতে চাই৷’