১০ লক্ষ খালি পদ আঁকড়ে কেন্দ্রীয় সরকার, নিয়োগ কত জানা নেই মোদির মন্ত্রীর 

Written by SNS February 3, 2023 3:52 pm

দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি — কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত অফিসগুলিতে শূন্যপদ ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষ। কিন্তু নিয়োগ শূন্য। সংসদে কর্মী বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-এর জবাবে এমনটাই জানা গিয়েছে।তবে গত তিন বছরে কেন্দ্রে শূন্যপদ কত তার জবাব মন্ত্রী দিলেও নিয়োগ কত তা এড়িয়ে গিয়েছেন। 

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীল মোদী রাজ্যসভায় জানতে চান, বছরে ১০ লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সরকার কী পদক্ষেপ করেছে। তাঁকেও মোদির মন্ত্রী এড়িয়ে গিয়েছেন একই ভাবে।

অর্থমন্ত্রকের ব্যয় বিভাগের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, ২০২১-এর ৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে মোট শূন্য পদ ছিল নয় লাখ ৭৯ হাজার ৩২৭জন। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ৭৮টি মন্ত্রকের শূন্যপদের হিসাব আছে।

কর্মীবর্গ, পেনশন এবং জন-অভিযোগ সংক্রান্ত মন্ত্রকটির পূর্ণমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁর হয়ে ওই দফতরের কাজকর্ম দেখাশোনা করেন প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

তারপর প্রায় দু’ বছর কেটে গিয়েছে। এতদিনে কত লোক নিয়োগ করা হয়েছে, সে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, নিয়োগ একটি লাগাতার প্রক্রিয়া। সরকার নিয়মিত রোজগার মেলার আয়োজন করছে। তাই সর্বশেষ পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। 

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, এই দু বছরে শূন্য পদের সংখ্যা আরও কয়েক লাখ বেড়ে গিয়েছে। তুলনায় নিয়োগ হয়েছে যৎসামান্য।

তাদের বক্তব্য, রোজগার মেলায় সরকারের নিয়মিত এবং পাকা পদগুলিতে নিয়োগ করা হয় না। ওই সব পদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নিয়োগ কমিশন। কিন্তু কমিশনের পরীক্ষা এখন আর প্রতি বছর হচ্ছে না।

মন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী শূন্যপদ সবচেয়ে বেশি রেলে। রেল মন্ত্রকে শূন্য পদের সংখ্যা দু লাখ ৯৩ হাজার। শূন্য পদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকে এক লাখ ৪৩ হাজার পদ শূন্য। তৃতীয় স্থানে আছে ডাক মন্ত্রক। পোস্ট অফিস-সহ ডাক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অফিসগুলিতে শূন্য পদ ৯০ হাজারের বেশি। অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ অফিসগুলিতেও খালি পদ প্রায় ৮০ হাজার। কর্মচারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, বছরে খুব বেশি হলে এক লাখ পদ পূরণ হয়। তুলনায় অবসর নিচ্ছে অনেক বেশি কর্মী। ফলে সরকারি অফিসগুলিতে তারুণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। কর্মচারীদের গড় বয়স পঁয়তাল্লিশের কাছাকাছি।