‘এত হিংসা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত’, পর্যবেক্ষণ আদালতের   

Written by SNS June 21, 2023 5:25 pm

কলকাতা, ২১ জুন –  পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ও অশান্তির ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। নির্বাচনকে ঘিরে এমন হিংসার ঘটনা ঘটলে ভোট বন্ধ করে  দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিরোধীরা। সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ প্রার্থীরা অশান্তির কারণে মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে তাঁদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর স্ক্রুটিনির কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রার্থীদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। বুধবার এই নিয়ে বিরোধীদের এক মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের নাম না থাকায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আইএসএফ এবং বামেরা।মামলাকারীদের তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, ১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম তালিকায় ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে সাইটে আর তাঁদের নাম দেখা যাচ্ছে না। এটা কীভাবে সম্ভব, সেই প্রশ্নই তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া,  মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলিও  শুনানির সময় উত্থাপন করেন বিরোধীরা ।  বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলা সঠিকপথে নিয়ন্ত্রণ করা।  অশান্তি, রক্তপাত, প্রাণহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

বিরোধীদের মূলত অভিযোগ ছিল কমিশনের বিরুদ্ধে। অশান্তি প্রসঙ্গে তাই কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, ‘‘অশান্তির কারণে প্রার্থীরা যদি সময় মতো মনোনয়ন জমা না দিতে পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া উচিত।’’ 

 বিচারপতির এই মন্তব্যে রাজ্য পাল্টা যুক্তি দেয়।  রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ভাঙড়ের ৮ টা ব্লকে অশান্তি হয়েছে, বাকি সবই শান্তিপূর্ণ ছিল ।এমনকি, রাজ্যে এ বারের পঞ্চায়েতে অশান্তি কম হয়েছে বলেও আদালতকে জানায় রাজ্য।  বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, ‘‘আগে কী হয়ে এসেছে সেসব বলবেন না। এখন কী হচ্ছে আদালত তা নিয়ে চিন্তিত। ১৯৯৯ বা ২০০৩ -এ  কী ঘটনা ঘটেছিল এই মামলায় আদালতের তা জানার কোন প্রয়োজন নেই।’’ ভাঙড়  ২ নম্বর মনোনয়ন জমা নিয়ে মামলা বৃহস্পতিবার শুনবেন বলে জানান বিচারপতি সিনহা।