ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশনের তরফে সর্বোচ্চ ‘ব্রোঞ্জ পিন’ সম্মান হানশি প্রেমজিৎ সেনকে 

Written by SNS November 8, 2023 7:56 pm
বুদাপেস্ট, ৮ নভেম্বর – বাংলার ক্যারাটে ডো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হানশি প্রেমজিৎ সেনের মুকুটে নয়া পালক। বুদাপেস্টে সম্প্রতি সমাপ্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে  ফেডারেশনের তরফে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘ব্রোঞ্জ পিন’ সম্মান পেয়েছেন তিনি। ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশন স্বীকৃত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি বিশ্বের শীর্ষ ক্যারাটে  সংস্থা। এই সংস্থা বছরের পর বছর ধরে ক্যারাটে ডো খেলায় যাঁরা বিশেষ  অবদান রেখেছেন তাঁদের ‘ব্রোঞ্জ পিন’ সম্মান দিয়ে থাকে। হানশি প্রেমজিৎ সেন এই মর্যাদাপূর্ণ ‘ব্রোঞ্জ পিন’ অর্জনের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। শুধু তাই নয়, হানশি প্রেমজিৎ সেন একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি, যিনি ক্যারাটে দো ক্রীড়াশিল্পকে জনপ্রিয় করার সুবাদে তাঁর অবদানের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। বছরের পর বছর ধরে তার কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার অর্জন করেছে। হানশি প্রেমজিৎ সেন ক্যারাটে ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন-এর যুগ্ম সচিব, যা ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশন, এশিয়ান ক্যারাটে ডো ফেডারেশন দ্বারা স্বীকৃত।
ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশনের তরফে সবচেয়ে সম্মানজনক ‘ব্রোঞ্জ পিন’ সম্মানে ভূষিত প্রেমজিৎ সেন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। এই সম্মান আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে ক্যারাটে জগতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। প্রথম বাঙালি হিসেবে এই সম্মান পেয়ে আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এই সম্মান আমার পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করতে চাই , যাঁরা আমার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং আমার এই প্রাপ্তির পিছনে তাঁদেরও কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। সমগ্র বিশ্বজুড়ে আমার যাঁরা শুভাকাঙ্খী রয়েছেন তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ‘
হানশি উপাধি-সহ প্রেমজিৎ সেন ভারতীয় মার্শাল আর্টিস্ট যিনি দুবার বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক পেয়েছেন বিশ্ব ক্যারাটে ফেডারেশনে তিনি রেফারি এবং বিচারক ছিলেন।  তিনি ক্যারাটে ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন-এর রেফারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্যারাটে মার্শাল আর্টে টানা দশবছর ধরে অসামান্য অবদানকারীকে ‘ব্রোঞ্জ পিন’ সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্ব ক্যারাটে জগতে ব্রোঞ্জ পিন সর্বোচ্চ স্বীকৃতির প্রতীক। এই সম্মান অর্জন এই মার্শাল আর্টে প্রেমজিৎ সেনের কঠোর শ্রমের স্বীকৃতি।