• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ‘শো-কজ’ নোটিস পাঠালো নির্বাচন কমিশন

দিল্লি, ২৭ অক্টোবর – অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ‘শো-কজ’ নোটিস পাঠালো নির্বাচন কমিশন। ৩০ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে তাঁকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ছত্তীসগড়ে নির্বাচনী সভায় সাম্প্রদায়িক বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।রাজ্যের কাওয়ার্ধায় বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী এবার মহম্মদ আকবর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। দিন কয়েক

দিল্লি, ২৭ অক্টোবর – অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ‘শো-কজ’ নোটিস পাঠালো নির্বাচন কমিশন। ৩০ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে তাঁকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ছত্তীসগড়ে নির্বাচনী সভায় সাম্প্রদায়িক বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।রাজ্যের কাওয়ার্ধায় বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী এবার মহম্মদ আকবর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। দিন কয়েক আগে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে সেখানে প্রচারে গিয়ে হিমন্ত বলেন, ‘একজন আকবর টিকে গেলে একশো আকবরকে জড়ো করবে। তাই আকবরকে বিদায় জানানো জরুরি। নইলে মাতা কৌশল্যার ভূমি অপবিত্র হয়ে যাবে। এই ভূমিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’

১৮ অক্টোবর, ছত্তীসগঢ়ের কাওয়ার্ধায় এক জনসভা করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার বিধায়ক তথা ভূপেশ বঘেল সরকারের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মহম্মদ আকবরের বিরুদ্ধে কিছু উক্তি করেন তিনি । পরদিনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হিমন্তবিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী বিবৃতি’ দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। হিমন্তের ওই ভাষণের ভিডিও নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে।  লক্ষণীয় কমিশন ওই অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠিয়েছে।  কেন তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেই প্রশ্ন উঠেছে ।  প্রসঙ্গত, দেশে একমাত্র ছত্তীসগড়েই একটি প্রাচীন মন্দির কৌশল্যা মন্দির হিসাবে পরিচিত। সেটাই তাঁর জন্মভূমি বলেও পরিচিত। 

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব কমিশনের চিঠিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। তাঁরা মনে করছে, এই অভিযোগের জেরে হিমন্তের উপর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কমিশন। তাতে দলেরই ক্ষতি। কারণ, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর চাহিদা আছে। প্রাক্তন কংগ্রেসি এই নেতাকে বিজেপির বহু প্রার্থীই হাত শিবিরের মোকাবিলায় মঞ্চে তুলতে আগ্রহী। হিমন্ত ভাল হিন্দি জানেন, এবং  নির্বাচনী জনসভা জমাতেও তিনি দক্ষ।  

Advertisement

অন্যদিকে, রাজস্থানের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে করা মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধিকে। গত ২০ অক্টোবর রাজস্থানের দৌসাতে এক জনসভায় রাজস্থানের দেবনারায়ণে এক মন্দিরে অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি । তিনি বলেছিলেন, “দেবনারায়ণের মন্দিরে মোদিকে একটি খামে অনুদান দিতে দেখেছিলাম আমরা। কিন্তু, খামটি খোলার পর দেখা গিয়েছিল, তাতে মাত্র ২১ টাকা আছে। গোটা দেশে এটাই ঘটছে। বড় বড় ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আর কোনও কাজ হয় না।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই অনুদান দেওয়ার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, ভিডিয়োটি ভুয়ো। প্রধানমন্ত্রী খামে করে কোনও অনুদান দেননি। বদলে, বেশ কয়েকটি নোট দানপাত্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার বিরুদ্ধে, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তারই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে কংগ্রেস নেত্রীকে।

আগামী মাসেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচার  চলছে জোর কদমে ।  এই প্রচারকালে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন নোটিস পাঠাল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরাকে।  নির্বাচন কমিশনের মতে, দুজনেই আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। দুজনকেই ৩০ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে 

Advertisement