• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

১৪১ বলির পরও গেরুয়াই ভরসা গুজরাতবাসীর

ভদোদরা, ৩ নভেম্বর– কয়েকদিন আগে মোরবি সেতু ভেঙে প্রাণ গেছে ১৪১ জনের। স্বজনহারাদের কান্না আজও গোটা মোরবি জুড়ে। সেই গুজরাটে আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দফায় ভোট। ১৮৮ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভার ভোট। আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে গুজরাতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের।  এবার দেখার সেই ভোটে কি প্রভাব ফেলবে মোরবি কাণ্ড? নাকি সব ভুলে পশ্চিমবঙ্গের

ভদোদরা, ৩ নভেম্বর– কয়েকদিন আগে মোরবি সেতু ভেঙে প্রাণ গেছে ১৪১ জনের। স্বজনহারাদের কান্না আজও গোটা মোরবি জুড়ে। সেই গুজরাটে আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দফায় ভোট। ১৮৮ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভার ভোট। আগামী মাসের মাঝামাঝি নাগাদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে গুজরাতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের। 

এবার দেখার সেই ভোটে কি প্রভাব ফেলবে মোরবি কাণ্ড? নাকি সব ভুলে পশ্চিমবঙ্গের বিগত বামফ্রন্ট সরকারের টানা ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের বিজেপি সরকার?

Advertisement

তবে যদি দিল্লির নামজাদা ভোট পর্যবেক্ষক সংস্থা সিএসডিএস-লোকনীতির সমীক্ষার ফল জানেন তবে রীতিমত চমকে যাবেন। এই সমীক্ষা বলছে, দুই তৃতীয়াংশ মানুষ বর্তমান সরকারের কাজকর্মে মোটের উপর সন্তুষ্ট। অর্থাৎ, ২৭ বছর ক্ষমতাসীন একটি সরকারের বদল চায় মাত্র এক তৃতীয়াংশ শতাংশ ভোটার। বাকিদের পদ্মের শোভাই পছন্দ।

Advertisement

সমীক্ষায় গত ৫ বছরে গুজরাতে বিজেপি সরকারের কাজকর্ম নিয়ে জনগণের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই জানান, তাঁরা রাজ্যে বিজেপি সরকারের কাজে সন্তুষ্ট। এক তৃতীয়াংশ মানুষ রাজ্য সরকারের প্রতি তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সরকারের বদল না চাওয়া লোকজনের মধ্যে ১১ শতাংশ অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তুলনায় কম সন্তুষ্ট আছেন ২২ শতাংশ। আবার নানা কারণে অসন্তোষ সত্বেও বর্তমান সরকারের বদল চায় না ৪৪ শতাংশ মানুষ।

এই সমীক্ষা চালানো হয় গত রবিবার মোরবিতে নদীতে সেতু ভেঙে আনুমানিক দেড়শ মানুষের মৃত্যুর ঘটনার পর।

তবে এই সমীক্ষা প্রথম নয় যেখানে জনগণ গেরুয়ায় ভরসা প্রকাশ করেছে। এর আগে ভোট সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটারের সমীক্ষাতেও বলা হয়, গুজরাতে সরকার বদলের সম্ভাবনা নেই। এবার আম আদমি পার্টি জোর কদমে লড়াইয়ে নামায় ভোটের রাজনীতি নয়া মাত্রা পেয়েছে। কিন্তু ভোটের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এখনকার মতো কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থান পেতে চলেছে। 

Advertisement