জিয়াগঞ্জে সপরিবারে প্রাথমিক শিক্ষক খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা বহরমপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের। এই ঘটনায় উৎপল বেহেরাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। যদিও উৎপলের দাবি, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। স্ত্রী বিউটি ও ছ’বছরের ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর, দশমীর দুপুরে ওই ঘর থেকেই তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় বিউটি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে খবর। ঘটনার সাতদিন পর উৎপল বেহেরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তে জানা যায়, বিমার ২৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে সে। বারবার চাওয়ার পরেও টাকা ফেরত দিতে পারেনি উৎপল। পরিবর্তে দুর্ব্যবহার করে সে। এরপর সেবছরই ৫ অক্টোবর হাঁসুয়া কেনে। ধারাল অস্ত্র ব্যাগে ভরে জিয়াগঞ্জের রাস্তায় বন্ধুপ্রকাশের খোঁজে ঘুরে বেড়ায় উৎপল। তবে তাঁর দেখা না পেয়ে ওই প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছয় সে। এরপরই ঘটে সপরিবারে প্রাথমিক শিক্ষককে খুন করে উৎপল।
Advertisement
এই মামলায় মোট ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়াতেও উৎপলের হাতের ছাপ পাওয়া যায়। দেশে প্রথম ইলেকট্রনিক প্রমাণ পেশে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করেন তদন্তকারীরা। যার ভিত্তিতে প্রায় চার বছর পর গত বুধবার উৎপল বেহেরাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার দোষীকে ফাঁসির সাজা দেন। দোষীর কঠোর শাস্তি হওয়ায় খুশি নিহত বন্ধুপ্রকাশের মা।