তৃণমূলের ‘ছোঁয়া’ এড়াতে  ‘ইন্ডিয়া’র কমিটিতে থাকবে না সিপিএম, পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত,

Written by SNS September 18, 2023 4:07 pm

দিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর– বঙ্গে আদায়-কাচঁকলায় সম্পর্ক তৃণমূল-সিপিএমের। অথচ দু’দলই রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ কমিটিতে। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখতে মরিয়া বঙ্গ সিপিএম। আর তাই  ‘ইন্ডিয়া’ জোটে  থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে সমন্বয় কমিটিতে প্রতিনিধি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পার্টি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির। তবে সংবিধান রক্ষার স্বার্থে ইন্ডিয়া জোটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাটরা।  বঙ্গ সিপিএমের দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পলিটব্যুরোর।

বাংলার স্বার্থে ইন্ডিয়া জোট থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে এবং কোনওভাবেই তৃণমূলের ‘ছোঁয়া’ পার্টির গায়ে লাগতে দেওয়া যাবে না-বঙ্গ কমরেডকুলের শীর্ষ নেতাদের এহেন দাবিকে নতমস্তকে মেনে নিল সিপিএম শীর্ষনেতৃত্ব। শনি ও রবিবার পার্টির দুদিনের পলিটব্যুরোর বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীারাম ইয়েচুরিকে। তা নিয়ে সিপিএমের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গিয়েছিল। এই আবহে জোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল পলিটব্যুরো।

দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নেমে মমার সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব মিটেছে। তবে সিপিএমের জন্য এই পরিস্থিতি বেশ অস্বস্তিকর। এই আবহে পলিটব্যুরোর তরফে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

ইন্ডিয়া জোটের সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিপিএম। পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর বাম দলের তরফে দাবি করা হয়, বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে এমন কোনও সাংগঠনিক কাঠামো জোটে গড়ে ওঠা ঠিক নয়। ঘুরিয়ে এই সমন্বয় কমিটির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে সিপিএম। এই আবহে সিপিএম জানিয়ে দিল, তারা ইন্ডিয়া জোটে আছে। কিন্তু জোটের সমন্বয় কমিটিতে তারা থাকবে না।

গত কয়েক বছর যাবত তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে সিপিএমের কর্মীরা। তাঁদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলার দাবি জানায় বঙ্গ নেতৃত্ব। সিপিএম রাজ্য নেতৃত্বের নাছোড় আবদারকে গুরুত্ব দিতে ইন্ডিয়া জোটের যেসব কমিটিতে তৃণমূলের সদস্য থাকবে সেই কমিটিতে সিপিএম অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল পলিটব্যুরো। তবে পার্টির তরফে সাফ জানান হয়েছে, দেশের সংবিধান আক্রান্ত। দেশের নাম বদলের পাশাপাশি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর মতো ‘অসাংবিধানিক’ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার।

নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্বহীন করার পাশাপাশি কমিশনের শীর্ষপদে নিজেদের লোক বসাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটি থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ইন্ডিয়া জোটে পার্টি দূরত্ব বাড়ালে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।