বেইজিং, ২২ আগস্ট– দিনের পর দিন বাড়তে থাকা বৃদ্ধের সংখ্যা, সঙ্গে নব প্রজন্মের বিয়েতে আস্থা হারানো নিয়ে গভীর সমস্যায় চিন। অবস্থা এমন যে বিয়ের জন্য নানান সরকারি সুযোগ-সুবিধে দিয়েও লাভের লাভ যে কিছু হচ্ছে না তাই প্রমান করছে তরুণ প্রজন্মের ‘অস্থায়ী সঙ্গী (টেম্পোরারি পার্টনার)’ খোঁজার মধ্যে। স্থায়ী সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে চীনের তরুণ-তরুণীরা এখন ‘অস্থায়ী সঙ্গী (টেম্পোরারি পার্টনার)’ খোঁজার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজার এই বিষয়কে মান্দারিন ভাষায় বলা হচ্ছে ‘দা জি’। এর অর্থ ‘সবকিছু মিলে যাওয়া’। চীনের তরুণ-তরুণীরা এখন এমন সঙ্গীকে পেতে চাইছেন, যাঁর সঙ্গে চিন্তাভাবনা মিলে যাবে। সঙ্গীকে পুরোপুরি জানার চেষ্টা না করেই তাঁর সঙ্গে কেবল স্বল্প সময় কাটাতে চান তাঁরা।
এই অস্থায়ী সঙ্গীর সঙ্গেও অবশ্য মুখোমুখি হতে চাননা চিনের তরুণ-তরুণীরা। তাই অস্থায়ী সঙ্গী খুঁজতে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জিয়াওহংশুকে বেছে নিয়েছেন। তাঁরা মূলত খাবার, গেমিং, ফিটনেস, ভ্রমণ, কৃষিকাজ, চ্যাটিং ও গান শুনতে আগ্রহী ব্যক্তিদের খোঁজ করেন। এসব সঙ্গীর মুখোমুখি হওয়া আবশ্যক নয়। তাঁরা উইচ্যাট ও এ ধরনের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিনের কথোপকথন সেরে নিতে পারেন।
Advertisement
অস্থায়ী সঙ্গী হওয়া এক তরুণ বলেছেন, ‘একজন অপরিচিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধান করা নিশ্চিত করে, আমরা দুজনেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। যদি কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে এটি করতে বলি, তবে আমি এটিকে ততটা গুরুত্বের সঙ্গে নাও নিতে পারি, এমনকি তাঁদের সঙ্গে তর্কও করতে পারি না।’
Advertisement
একাকিত্বে ভোগায় চিনা নব প্রজন্মের কাছে অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজার প্রবণতা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে ওই তরুণ-তরুণীরা নিজেদের স্থান ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে চান।
অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজা আরেক তরুণ বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুব একা; সামাজিক মিথস্ক্রিয়াও পছন্দ করি না। তবে আশা করি, এমন একজন অপরিচিত ব্যক্তি আসবে, যে আমার জীবনে প্রবেশ করবে না। কিন্তু আমাকে একা সিনেমা দেখা বা একা একা আর খেতে দেবে না। অস্থায়ী সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে দেশটির অনেক তরুণ-তরুণী হতাশার সম্মুখীনও হয়েছেন। কারণ এই সম্পর্ক চলাকালীন যে কেউ কারো প্রেমে পড়লেও অন্যজন তাঁকে যেকোন মুহূর্তে ত্যাগ কর দেন
Advertisement



