পঞ্চায়েত ভোটে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্দিষ্ট করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

Written by SNS June 21, 2023 8:08 pm

কেন্দ্রীয় বাহিনী (প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র) (Photo: IANS)

কলকাতা, ২১ জুন – পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, সে সম্পর্কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয় , ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত  নির্বাচনে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেই সংখ্যক বা তার থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে । পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করতে হবে বলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বুধবার বিরোধীদের মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি, অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন বিরোধীরা

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিজেপি জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্যও অন্তত ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’’ কমিশন ২২টি জেলার জন্য যে ২২ কোম্পানি অর্থাৎ ২০০০-এর কিছু কম আধা সেনা মোতায়েনের কথা বলেছে, তা করলে চলবে না। আর এই বাহিনীর জন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানাতে হবে কেন্দ্রকে।

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের উদাহরণ তুলে মামলাকারীরা বলেন, সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৩ সালে ৫ দফায় রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল ৮০০ কোম্পানি অর্থাৎ ৮২০০০ বাহিনী দিয়ে ।  রাজ্যের পুলিশ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার। আদালত জানিয়েছে, তারা বিস্মিত যে সেই সময় রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।  তারা এখনও একই রকম নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করে। 

আদালতের পর্যবেক্ষণ, তখন জেলার সংখ্যা ছিল ১৭,  এখন ২২। তাই ২০১৩ সালর মতো বা তার থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবারও মোতায়েন করতে হবে। কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংখ্যক বাহিনী চাইতে হবে। আদালতের নির্দেশ না মানলে কমিশনের বিরুদ্ধে ফল খারাপ হতে পারে। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।