লখনউ, ২ জুন– দিল্লিতে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুস্তিগিরদের আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য খেলোয়াড় থেকে রাজনৈতিক দলগুলি ।এই আন্দোলন যার বিরুদ্ধে সেই মূল অভিযুক্ত, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং আবার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, অযোধ্যায় সন্ন্যাসী ও পুরোহিতদের নিয়ে বিশাল সভা করে দেখিয়ে দেবেন তাঁর কত ক্ষমতা! করবেন প্রায় দশ লক্ষ লোকের জমায়েত। সেই সভা হওয়ার কথা ছিল ৫ জুন, অযোধ্যার রামকথা পার্কে। কিন্তু এবার ব্রিজভূষণ জানিয়ে দিলেন, সেই সভা তিনি আপাতত স্থগিত রাখছেন।
ব্রিজভূষণ এই সভার নাম দিয়েছিলেন ‘জন চেতনা মহাযাত্রা’। কাইসেরগঞ্জের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি সাংসদের প্রতাপ অযোধ্যায় যথেষ্ট। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে এখানে। বাবরি মসজিদ আক্রমণের ঘটনাতেও তিনি জড়িত ছিলেন। তাঁকে সসম্মানে ‘নেতাজি’ বলে ডাকা হয় এখানে।
কিন্তু এত প্রভাব ও প্রতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, ব্রিজভূষণের সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। তাঁর এই সভার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন ব্রিজভূষণ। কিন্তু যোগীরাজ্যের পুলিশ তাঁকে সেই অনুমতিই দেয়নি। এদিকে মুজফফরনগরে আহ্বায়িত এক মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত দাবি করেছেন, তিনি স্বয়ং অযোধ্যায় গিয়ে সাধুসন্তদের সঙ্গে ব্রিজভূষণের ব্যাপারে কথা বলেছেন। সাধুরা একেবারেই অভিযুক্ত বিজেপি নেতার পাশে নেই। জনমত কীভাবে তৈরি করা যায় তিনি দেখবেন।
ব্রিজভূষণ অবশ্য সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিশ ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতি সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। ‘সমাজে যেভাবে আমার নামে কুকথা ছড়ানো হচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমি অযোধ্যায় সভা করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেহেতু বিষয়টিতে তদন্ত করছে, সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু নির্দেশিকা দিয়েছে, তাই তাকে সম্মান জানিয়েই ৫ জুনের জন চেতনা মহাযাত্রা আমি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
