পাকিস্তান ও জঙ্গিদের সঙ্গে মমতার আত্মীয় সুলভ আচরণ বরদাস্ত করবে না বিজেপি : অমিত

পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাদের প্রতি আত্মীয় সুলভ আচরণ বরদাস্ত করবে না বিজেপি সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে সন্ত্রাসবাদ কড়া হাতে মোকাবিলা করবে।

Written by SNS Birbhum | April 23, 2019 9:48 am

মোদি এবং অমিত শাহ (Photo: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images)

পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাদের প্রতি আত্মীয় সুলভ আচরণ বরদাস্ত করবে না বিজেপি সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে সন্ত্রাসবাদ কড়া হাতে মোকাবিলা করবে।

সোমবার মহাম্মদবাজার থানার গণপুরে একটি সভায় অংশগ্রহন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ আসেন অমিত শাহ ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মন্ডল ও বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী রামপ্রসাদ দাসের সমর্থনে এদিন জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিকেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে মনে হয়েছিল যে তার কোনও নিকট আত্মীয় মারা গেছেন। তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলায় চল্লিশজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সারা দেশ যখন এই মৃত্যুতে শোকাহত এবং মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে তখন মমতা সরকারের ভূমিকা ছিল দেখার মত।

এই ঘটনার পর বিজেপি সরকার ও নরেন্দ্র মোদি নিজে সেনাবাহিনীকে হুকুম দিয়েছেন পাকিস্তানে ঢুকে আতঙ্কবাদিদের নিকেশ করতে। আপনারাই বলুন, এটা ঠিক করেছেন না ভুল? আতঙ্কবাদীদের মৃত্যুর পর মমতার চেহারা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে পড়েছিল। তাঁর চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও নিকট আত্মীয় মারা গেছে। মমতা বারবার দাবি করেছিলেন পুলওয়ামা ঘটনায় আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধিও তাই বলেছিলেন। আপনাদের কি মনে হয় তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত না বোমা মারা উচিত? মমতা সরকারকে জানিয়ে রাখতে চাই আপনি জঙ্গিদের সঙ্গে গিয়ে ইলু ইলু করুন। এটা বিজেপি সরকার আমরা কোনভাবেই সন্ত্রাসবাদীদের বরদাস্তুত করব না। তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। তার দাবি কেন্দ্রের পাঠানো বিভিন্ন টাকা রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা আত্মসাৎ করেছেন।

শুধু তাই নয় এই রাজ্যে সারদা ও রোজভ্যালির মত চিটফাণ্ডের নামে তৃণমূলের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এরপরই তিনি হুমকি দেন, বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে নব্বই দিনের চিটফান্ডের দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে ঢোকানো হবে। তার জন্য তৃণমূল সরকারকে তৈরি থাকারও হুঙ্কার দেন অমিত। তিনি বলেন, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট মিলে বাংলাকে কাঙ্গাল করেছে।