দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর – যে কোনও সরকারি কিংবা বেসরকারি কাজে একমাত্র নথি হবে জন্ম শংসাপত্র। ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকরী হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে , সমস্ত কাজে এটি একমাত্র নথি হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। এর ফলে, ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি, সব ক্ষেত্রেই জন্ম শংসাপত্রকেই একমাত্র নথি হিসেবে গণ্য করা হবে।
গত ১ আগস্ট লোকসভায় এবং ৭ আগস্ট রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। গত অগস্ট মাসে বাদল অধিবেশনের সময় সংসদে পাশ হয় ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। নয়া নীতি অনুযায়ী, জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন, ২০২৩’। এই বিলটি গত ২৬ জুলাই সংসদে পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। পরে সেটি সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হয়।
Advertisement
এর আগে সংসদে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করে নিত্যানন্দ রাই বলেছিলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল আনা হয়েছে।’ আর সংসদে সেই বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হতেই এখন তা কার্যকর করা হবে দেশ জুড়ে। এতে নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement
যদিও এই নয়া নিয়মের বিরোধিতায় সরব হন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, এই নিয়ম কার্যকর হলে জনগণের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি লঙ্ঘন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে এবং এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
Advertisement



