একাধিক দাবিতে ধর্মঘটে নামছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা!

Written by SNS September 30, 2023 10:49 am

কলকাতা:- ডিসেম্বর মাস থেকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ১৩ দিন ব্যাঙ্কে ধর্মঘট থাকবে। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী নিয়োগ, আউটসোর্সিংয়ের প্রতিবাদ সহ একাধিক ইস্যুতে এই মেগা ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির তরফ থেকে। সামনেই দুর্গাপুজো, আর এই উৎসব মিটলেই মেগা ধর্মঘটের পথেই হাঁটবে কর্মী সংগঠন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে। আর সেই মতো আগামী চার ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ধর্মঘট। তবে বিভিন্ন দফায় এই ধর্মঘট হবে। এমনটাই সূত্রের খবর। আগামী চার ডিসেম্বর ধর্মঘটে শামিল হবেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা। যৌথ ভাবে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব-সিন্ধু ব্যাঙ্কের কর্মীরাও দেশব্যাপী ধর্মঘটে শামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। পাঁচ ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক অফ বোরোদা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা এই ধর্মঘটে শামিল হবেন। ৬ ডিসেম্বর কানাড়া ব্যাঙ্ক এবং ইউকো ব্যাঙ্কের কর্মীরা দেশজুড়ে ধর্মঘট করবেন। ৭ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক এবং ইউকো ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকরা ধর্মঘটে থাকবেন। ৮ ডিসেম্বর ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের কর্মচারী দেশজুড়ফে সমস্ত শাখায় ধর্মঘটে থাকবেন। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীরা ১১ ডিসেম্বর ধর্মঘটে যোগ দেবেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে একই ভাবে ফের ধর্মঘটে যোগ দেবেন কর্মীরা। সমস্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজ্যে একযোগে ধর্মঘট করবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির। সূত্রের খবর, সেই মতো ২রা জানুয়ারি, ২০২৪ দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, পুদুচেরি, আন্দামান, লক্ষ্মদীপে ধর্মঘট হবে। ২০২৪ সালের ৩রা জানুয়ারি পশ্চিম ভারত অর্থাৎ গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, দাদার, দমন, দিউয়ের সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ধর্মঘটে যোগ দেবেন। এছাড়াও বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন রাজ্যের ব্যাঙ্ক কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হবেন। আগামী ১৯ এবং ২০ জানুয়ারী ফের ধর্মঘটে যোগ দেবেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। দুই দিন ধরে দেশব্যাপী ধর্মঘট হবে। যেখানে সমস্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরা একযোগে শামিল হবেন। আর দীর্ঘ এই ধর্মঘটের কারনে কার্যত ব্যাংকিং পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করা যাচ্ছে।