প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবেন না বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা, রায় শীর্ষ আদালতের  

Written by SNS August 11, 2023 5:26 pm
দিল্লি, ১১ অগাস্ট – প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র ডিএড বা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই অংশ নিতে পারবেন, বিএডরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নন। শুক্রবার রায় ঘোষণা করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে শুক্রবার শীর্ষ আদালত এই রায় দেয়। শীর্ষ আদালত শুক্রবার জানিয়েছে, গোটা দেশ জুড়ে এই নীতি কার্যকর করতে হবে।
অবশেষে শীর্ষ আদালতে জয় হল ডিএলএড ডিগ্রিধারীদের। প্রাথমিকে শিক্ষক হতে পারবেন ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই, এই রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিএড-দের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিযোগ করা হবে না। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, বি.এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু এই হাই কোর্টের এই রায় শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে বি.এড প্রশিক্ষিতরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্যই আবেদন করতে পারবেন। আর ডি.এল.এড ও ডি.এড প্রশিক্ষিতদের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ করা উচিত বলে পর্যবেক্ষণ বিচারপতিদের।
তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বি.এড ডিগ্রি শিক্ষকের সংখ্যা কম নয়। এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, শুধু বি.এড-রা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। কিন্তু ডি.এল.এডদের সেই সুযোগ ছিল না। তাঁরা শুধু প্রাথমিকেই বসার সুযোগ পেতেন। এনসিটিই-র ওই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে দেশজুড়ে মামলা করেন ডিএলএডরা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডি.এড বা ডি.এল.এড ডিগ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য নির্দিষ্ট। আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বি.এড বাধ্যতামূলক। তাই চাকরিতে সুযোগের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিসর থাকা প্রয়োজন। কারণ, বি.এড-দের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিএলএডদের।
প্রসঙ্গত ডিএলএড চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে একাধিক রাজ্যে মামলা দায়ের হয়। রাজস্থান হাইকোর্টও ডিএলএড প্রার্থীদের দিকেই রায়দান করে। এবার বাংলার ক্ষেত্রেও সেই নির্দেশ  কার্যকরী হবে। তবে শিক্ষাবিদদের মতে,  সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের প্রভাব পড়বে এ রাজ্যের প্রাথমিকের চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার বিএড ডিগ্ৰী রয়েছে এমন প্রার্থীরা আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য সরকারগুলিকে প্রাথমিকে নিয়োগের নতুন নীতি এবং পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।