অভিযোগ , হরিয়ানার জিন্দ-এর সরকারি স্কুলটির ৫৫ বছর বয়সী ওই শিক্ষক স্কুলে নানা অজুহাতে নিজের অফিস ঘরে ডাকতেন এবং ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতেন। নানাভাবে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করা হত । এছাড়া বেশ কিছু ছাত্রীকে তিনি ফোন ও অশালীন মেসেজও পাঠাতেন। ব্যক্তিগত ফোন ছাড়াও তাঁর কাছে মোট তিনটি মোবাইল ফোন ছিল, যেগুলি ব্যবহার করে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন তিনি। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনে।
মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকজন ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরে কয়েকজন ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও জাতীয় মহিলা কমিশনেও চিঠি লিখে অভিযোগ জানায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। গত ২৭ অক্টোবর সরকারের তরফে ওই প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়। ৩০ অক্টোবর তাঁকে আটক করে পুলিশ।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া বলেন, “ওই স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রী অভিযোগ জানিয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জন ছাত্রী শিক্ষকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে। বাকি ১০ জন ছাত্রী বয়ান দিয়েছে যে তারা প্রিন্সিপালের এইসব কার্যকলাপ সম্পর্কে জানত।”
Advertisement
Advertisement
Advertisement



