কর পদ্ধতির বেস ভ্যালু বৃদ্ধি, বাড়তে পারে শহরের সম্পত্তি কর 

Written by SNS September 16, 2023 4:43 pm

কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর –  বাড়তে পারে কলকাতাবাসীর সম্পত্তি করের পরিমাণ। কলকাতায় সম্পত্তি কর নেওয়া হয় এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থা বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে। এবার সেই কর পদ্ধতিতে নিয়ম মেনে বেস ভ্যালু বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেয়র পারিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে। কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মাসিক অধিবেশনে এই প্রস্তাব আনা হবে এবং যদি হাউসের সম্মতি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িত করা হবে। ফলে সার্বিকভাবে কলকাতায় বাড়তে পারে সম্পত্তি কর। কর মূল্যায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের একাংশের দাবি, বেস ভ্যালু বাড়ালে স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে সম্পত্তি কর।  

কর আদায় পদ্ধতিতে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট বেশ কয়েক বছর চালু হয়েছে। কিন্তু বহু করদাতাকে এই নিয়মের আওতায় আনা যাচ্ছিল না। পরে ধাপে ধাপে নিয়মের সরলীকরণ ও কাঠামোয় পরিবর্তন এনে করদাতাদের নতুন নিয়মের আওতায় আনা হয়েছে এবং তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।  
 
কলকাতা পুরসভার আর্থিক ভান্ডারের হাল ফেরাতে বেস ভ্যালু বাড়ানোই একমাত্র পথ। এলাকাভিত্তিক কর পদ্ধতিতে উচ্চবিত্তরা যেখানে আছেন তাঁরা কর বেশি দেবেন, যেখানে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা আছেন , সেখানে করে পরিমান কম হবে। সেইভাবে এলাকায় ভাগ করা হয়েছে।  
এই পদ্ধতিতে শহরকে সাতটি ক্যাটাগরি-তে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে যে সমস্ত করদাতারা পড়ছেন তাঁদের ‘ইউনিট এরিয়া ভ্যালু’ স্কোয়ারফিট পিছু ৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২ টাকা করা হচ্ছে। এই ‘এ’ ক্যাটাগরির এলাকার মধ্যে পড়ছে পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, আলিপুর এবং বালিগঞ্জের কিছু এলাকা, গড়িয়াহাট রোড।
অন্যদিকে ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ‘ইউনিট এরিয়া ভ্যালু’ স্কোয়ারফিট পিছু বাড়িয়ে ৫৬ থেকে ৬২ করা হয়েছে। ‘সি’-এর ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৪২ থেকে ৪৭ করা হবে এবং ‘ডি’-এর ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি করে ৩২ থেকে ৩৬ করা হচ্ছে। ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ২৪ টাকা বৃদ্ধি করে ২৭ করা হয়েছে , ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ১৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। ‘জি’ ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ১৩ টাকা বাড়ানো হচ্ছে ১৫ টাকা । প্রতি বর্গ ফুটে এক বছরের জন্য নির্ধারিত হয়েছে এই বেস ভ্যালু।
 
নতুন পদ্ধতির আওতায়, যদি ‘এ’ ক্যাটাগরি এলাকায় কোনও কম রোজগারের বসতি থাকে , তাহলে তাদের চিহ্নিত করে ‘জি’ ক্যাটাগরি করা হবে। যেমন পার্ক স্ট্রিট ‘এ’ ক্যাটাগরি হলেও, সেখানে যে বস্তি এলাকা , সেই অংশ ‘জি’ ক্যাটাগরিতে যাবে। পুরসভা সূত্রে খবর, সম্পত্তিকরের এই পুর্নবিন্যাস করা হলে নয় লাখ করদাতার উপর এর প্রভাব পড়বে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে কলকাতা পুরসভার আর্থিক হাল অনেকটাই ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। 
 
উল্লেখ্য সম্প্রতি এই নিয়মেই বাণিজ্যিক কর কাঠামোতেও বদল আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। এর ফলে বাণিজ্যিক কর প্রদানও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী পৌর সভা কর্তৃপক্ষ।