দিল্লি হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আবেদনগুলি খারিজ করার সময় ডিভিশন বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে, আবেদনকারীদের এই ভাবে নিয়োগ চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই রায় সংরক্ষিত ছিল।
২০২২-এর ১৪ জুন ভারতীয় যুবকদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এই প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত প্রার্থীরা ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে চার বছরের জন্য দেশের সেবা করবেন।
Advertisement
অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৬ হাজার প্রার্থীকে ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনাতে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের তরুণ-তরুণীদের ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে নিয়োগ করার কথা। সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ সেনাবাহিনী তৈরি করাই এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য বলেও কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই সারা দেশে আগুন জ্বলে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, ভারতীয় সেনায় সাধারণ ভাবে অফিসার এবং জওয়ান নিয়োগের বয়স ১৮-২৫ বছর। নতুন বয়ঃসীমায় অনেক যুবকই সুযোগ হারাবেন। এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রথম ব্যাচে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করার কথা ঘোষণা করে। তবে এতেও শান্ত হয় না পরিস্থিতি।সশস্ত্র বাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগে পাকাপাকি ইতি টানা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের হাই কোর্ট কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়। একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাই কোর্টেও। সেই সব আবেদনকেই সোমবার খারিজ করল আদালত।
Advertisement



