• facebook
  • twitter
Friday, 11 October, 2024

নিউমোনিয়া সারাতে দেড় মাসের শিশুকে লোহার রড দিয়ে সারা শরীরে ছ্যাঁকা

 ভোপাল, ২২ নভেম্বর – দেড় মাসের শিশুকে লোহার রড দিয়ে সারা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি দিতে। সারা শরীরে পোড়া ক্ষত ও  দাগ নিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলায়। জন্মের পর থেকেই টানা সর্দি-কাশিতে ভুগছিল শিশুটি। শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানিয়েও ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসকের কথার থেকে

 ভোপাল, ২২ নভেম্বর – দেড় মাসের শিশুকে লোহার রড দিয়ে সারা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে নিউমোনিয়া থেকে মুক্তি দিতে। সারা শরীরে পোড়া ক্ষত ও  দাগ নিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলায়। জন্মের পর থেকেই টানা সর্দি-কাশিতে ভুগছিল শিশুটি। শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে বলে জানিয়েও ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসকের কথার থেকে পরিবার বেশি ভরসা করেছিল দাইমার আশ্বাসের উপর। সেই কারণেই শিশুটিকে সুস্থ  করে তুলতে দাইমার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই দাইমাই একরত্তি শিশুটিকে লোহার রড গরম করে সারা শরীরে ছ্যাঁকা দেন এক-দু’বার নয়, কমপক্ষে ৪০ বার । গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুটিকে।
নিউমোনিয়া সারিয়ে তুলতেই নাকি লোহার গরম রড দিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করছিলেন বুটি বাই বাইগা নামে এক মহিলা। বুটি পেশায় এক ধাত্রী মা। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার হার্দি গ্রামে ঘটেছে। ধাত্রী মা বুটি, শিশুর মা বেতলওয়াতি বাইগা এবং শিশুটির ঠাকুরদা রজনী বাইগার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে বেতলওয়াতির দেড় মাসের শিশুপুত্র। চিকিৎসার জন্য পরিচিত এক ধাত্রী মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
ধাত্রী মায়ের নির্দেশে ৪ নভেম্বর থেকে শিশুর শরীরের নানা জায়গায় লোহার গরম রড দিয়ে পোড়ানো শুরু করেন। এই পদ্ধতিতেই শিশুর রোগ সারাবেন বলে প্রায় ৪০ বার লোহার গরম রড দিয়ে কখনও গলায়, কখনও পেটে অথবা শরীরের অন্যান্য অংশ পুড়িয়ে ফেলতেন ধাত্রী মা। শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় জেলা হাসপাতাল থেকে নিকটবর্তী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী শিশুর মা, ঠাকুরদা এবং ওই ধাত্রী মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।