মণিপুরের দুর্গতদের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বদলের সুপারিশ  সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা তিন প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটির 

Written by SNS August 21, 2023 7:49 pm
দিল্লি, ২১ আগস্ট – মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বদল করতে হবে । সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্ট-এ এমনি সুপারিশ করল তিন প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে রিপোর্টগুলি পেশ করা হয়।   খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে রায় দেবে শীর্ষ আদালত। কমিটির দায়িত্বে ছিলেন  প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল। নতুন এই কমিটি গঠনের ১৪ দিনের মাথায় হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল শীর্ষ আদালতে।

মণিপুর নিয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে তিনটি রিপোর্ট জমা দেয় তিন প্রাক্তন মহিলা বিচারপতির কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল। বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, “মণিপুরের হিংসায় পীড়িতদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে মণিপুরের দুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের জন্য যে আর্থিক সহায়তা ধার্য করা হয়েছে, তার পরিমাণ বাড়ানোর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, অনেকেরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাদের পুনরায় সেই সমস্ত নথি বানিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।  

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, অশান্ত মণিপুরে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে থাকবেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গিতা মিত্তাল, বম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শালিনী ফানসালকর জোশী। থাকবেন দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশা মেনন। 

প্রসঙ্গত, গত ৪ মাস ধরে মেই তেই-কুকি জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। প্রতিদিনই সেখানে হিংসা, সংঘর্ষ ও রক্ত ঝরার খবর মিলছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা প্রায় দু’শ। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মণিপুরবাসিদের। ফলে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।