জেনে নিন হাজারো গুণে ভরপুর কাঁচা আম এর গুণাগুণ।

Written by SNS June 26, 2023 11:32 am

কলকাতা:- এই অসহ্য গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই আম পান্না বা আম পোড়ার শরবত খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার কাঁচা আমে নুন, লঙ্কা মাখিয়ে খেতে ভালোবাসেন। এ ছাড়া, বিভিন্ন তরকারি, ডাল কিংবা চাটনিতে দিয়ে তো প্রায়ই খাওয়া হয় কাঁচা আম। কিন্তু কাঁচা আম শুধু খেতেই ভালো নয়, স্বাস্থ্যেরও জন্যও দারুন উপকারি। পুষ্টিগুণে পাকা আমের মতো প্রচুর গুন  আছে কাঁচা আমে। কাঁচা আমে ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেট-সহ উপাদান থাকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম কতটা কার্যকরী।

• রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে-
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। চিনির পরিমাণ কম অন্যান্য ফলের তুলনায়। যে কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই  কাঁচা আম খেতে পারেন।
•হার্ট সুস্থ রাখে-
কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এই দু’টি উপাদান রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এবং খনিজগুলি রক্তনালী রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, আমে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা  আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, ফলে ইমিউনিটি  বাড়াতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কাঁচা আমের গুণাগুণ ভরপুর।
•হজমে সাহায্য করে-
অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ কার্যকরী এই কাঁচা আম। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম। ফলে খাবার খুব ভালো ভাবে হজম হয়।
•কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে-
শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এ ছাড়াও, কাঁচা আম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। কাঁচা আমে খুব কম ক্যালোরি থাকায় ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং চিনিও কম থাকে। যারা ওজন কমাতে চান তারা ডায়েটে রাখতেই পারেন কাঁচা আম।