• facebook
  • twitter
Thursday, 15 May, 2025

নিজেদের অজান্তেই আমরা ঢুকে পড়েছি এক চক্রব্যূহের মধ্যে

উপমহাদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নানা অভিযোগ ছিল সংখ্যাগুরু হিন্দুর বিরুদ্ধে। তাদের সেই ক্ষোভ কাজে লাগিয়েছে মুসলিম লীগ।

ফাইল চিত্র

প্রবীর মজুমদার

এই বছরে গোবলয়ে হঠাৎ একটা কথা খুব জনপ্রিয় হয়ে গেল – ‘জুম্মার নমাজ প্রতি সপ্তাহে আসে, কিন্তু হোলি আসে বছরে একবার।’ সুতরাং? সুতরাং জুম্মার নমাজ আর হোলি যদি একই দিনে পড়ে তাহলে নমাজ পড়া যাবে না। আর যদি কেউ নমাজ পড়তে যান তাহলে তাঁর দিকে ফুল বা রং ছুড়ে মারা হবে। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে একটা সংগঠিত শক্তি এসব বলে বেড়াল এবছর। দেখুন, সংবিধান আছে সংবিধানের জায়গায়। তা মেনে চলতে হবে এমন মাথার দিব্যি বর্তমান ভারত থেকে প্রায় উঠে গেছে। এখন বিজেপির নেতা, মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা যা বলবেন সেটাই আইন, সেটাই সংবিধান। এমনকি পুলিসকর্তারা পর্যন্ত বলে দিলেন- হিন্দু উৎসবের দিন মুসলমানদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে।

উপমহাদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নানা অভিযোগ ছিল সংখ্যাগুরু হিন্দুর বিরুদ্ধে। তাদের সেই ক্ষোভ কাজে লাগিয়েছে মুসলিম লীগ। মুসলমানরা বিপুলভাবে মুসলিম লীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক আবাসভূমি দাবি করেছিল। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা এই দাবি লুফে নিতে দেরি করেনি। পৃথক ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের মুসলমানরা স্বেচ্ছানির্বাসিত হয় দুই প্রান্তিকে। ফলে গোটা উপমহাদেশ কার্যত হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অবাধ চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাংবিধানিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ঘোষিত হলেও ভারতের জনমনেও এ ধারণা বরাবরই স্পষ্ট ছিল যে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি মুসলমানের জন্য, আর ভারত হিন্দুদের জন্য। অর্থাৎ কাগজে-কলমে ধর্মনিরপেক্ষ বলা হলেও বাস্তবে পাকিস্তানের বিপরীতে ভারত একটি ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ হিসেবেই প্রতিভাত হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে, সেই বাস্তবতা ততই প্রকট হয়ে উঠছে। স্বাধীন হওয়ার ৬৬ বছর পর আজকের ভারতে কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলোকে পেছনে ফেলে সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে বিজেপির জয়জয়কার সেটাই প্রমাণ করে।

এই প্রসঙ্গে একথা না বললেই নয় যে, আজকের অবস্থা তৈরি হওয়ার পিছনে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর নরম হিন্দুত্ব অনেকখানি দায়ী। বর্তমান ভারতে আরএসএস-বিজেপির নয়া ফ্যাসিবাদের উদ্ভবের পিছনে কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলোর অর্থনৈতিক ব্যর্থতার অবদান আছে। পাশাপাশি বিজেপি যে রাজনৈতিক জমি পেয়েছিল ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার ফলে, তা তৈরি হয়েছিল এই নরম হিন্দুত্বের ভ্রান্ত ও আত্মঘাতী নীতির উপর দাঁড়িয়ে। সেই ছিল শুরু। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত সংঘ পরিবার ভারতীয় রাজনীতিতে ছিল প্রান্তিক শক্তি। কিন্তু কয়েকশো বছর আগেকার ইতিহাস খুঁচিয়ে তুলে, তার ভুল ও বিকৃত ব্যাখ্যা হাজির করে একটা মোহজালকে যে বাস্তবে রূপান্তরিত করা সম্ভব, তা দেখিয়ে দিয়েছিল সংঘ পরিবারের ভয়ংকরতম সৃষ্টিশীল রাজনীতি। একদিকে বামপন্থীরা যখন ‘বাস্তবের অনুসন্ধান করতে হবে’ বলে দায় এড়ানো পথে চলার চেষ্টা করছিল, অন্যদিকে তথাকথিত হিন্দু আবেগকে চটাতে ভয় পেয়েছিল কংগ্রেস। তখন বিকৃত ইতিহাসকে নয়া স্বাভাবিকতা, নয়া বাস্তবে পরিণত করার ভয়ংকর খেলা শুরু করেছিল সংঘ পরিবার।

বাবরি ধ্বংস হওয়া ভারতে যে রাজনীতির জন্ম দিয়েছিল তা বাবরিতেই মিটে যায়নি, রামমন্দির হয়ে আজ ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে নাগপুরের দাঙ্গা হয়ে দেখা দিয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে তা ইতিহাসের একেকটা পাতাকে বিকৃত করে যত্রতত্র দেখা দিতে যাচ্ছে। ১৯৯২ সালের আগে কে ভাবতে পারত যে, ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এক কল্পিত ছায়াছবি বাস্তবে দাঙ্গার, সাম্প্রদায়িক হামলার কারণ হয়ে উঠতে পারে? অথচ, ইতিহাসকে বিকৃত করা ‘ছাওয়া’ চলচ্চিত্র দ্বারা প্ররোচিত পাষণ্ড নির্বোধ জনতা নাগপুরে ঔরঙ্গজেবের সমাধি ভেঙ্গে ফেলতে হবে – এই দাবিতে গণ্ডগোল শুরু করলে তা বারুদের স্তূপে স্ফুলিঙ্গের কাজ করল। বোঝাই যাচ্ছে, গোটা ভারতীয় সমাজ কেমন দাহ্যবস্তুর গুদামে পরিণত হয়েছে।
ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চাষ শুরু হয় অবশ্য আরো অনেক আগে, ঔপনিবেশিক আমল থেকে। ঔপনিবেশিক ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, যা ভারতের ভাগ্যকে রক্তস্নানের দিকে ঠেলে দেয় এবং সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশের অনিবার্য বিভাজনের দিকে পরিচালিত করে। যদিও ভারত বহু ধর্ম এবং বিশ্বাসের দেশ ছিল, তবুও ঔপনিবেশিক-পূর্ব ভারত কখনও সাম্প্রদায়িকতার কীট দ্বারা জর্জরিত ছিল না। “বিভক্ত করো এবং শাসন করো” এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঔপনিবেশিক নীতিই সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছিল, যা একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছিল যা ভারতের প্রাচীন আবহমান সংহতিকে বিঘ্নিত করেছিল এবং এটি এখনও অর্জিত স্বাধীনতার প্রাণশক্তিকে নিঃশেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করছে।

প্রত্যক্ষভাবে হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় পরিচিতি সত্তা ব্যবহারের রাজনীতি শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। যখন ধর্মনির্বিশেষে ভারতীয় জনগণকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সমবেত করার সম্ভাবনা দেখা দেয়, সে সময়েই ব্রিটিশের কাছে সম্প্রদায়গত বিভেদের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উপমহাদেশের যেসব জনগোষ্ঠীর বাস, তাদের স্বাতন্ত্র ও জাতিসত্তার স্বীকৃতি না দিয়ে ধর্মীয় পরিচিতি সত্তাকে সামনে আনা হয় এবং এভাবে উপমহাদেশে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র সৃষ্টি হতে না দিয়ে ধর্ম পরিচয়ে রাষ্ট্র নির্মাণে সহায়তা করে ব্রিটিশরা স্থানীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের যেহেতু কোনো সর্বভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ছিল না, বরং উভয়ই ছিল স্ব-স্ব ধর্মাবলম্বী উচ্চ বর্ণের বৃহৎ পুঁজির মালিক ও ভূমিকেন্দ্রিক কায়েমী স্বার্থের প্রতিনিধি, এজন্য তাদের পক্ষেও ব্রিটিশ সরকারের এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি, দরকারও হয়নি, অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্বার্থের ঐক্যই বরং প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কংগ্রেস নিম্ন বর্ণের হিন্দুদেরকে হিন্দু সমাজের কাঠামোর মধ্যে ধরে রাখার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছে, কিন্তু নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের জন্য কিছুই করেনি। হিন্দুত্বের নামে বিজেপি আজ নিম্ন বর্ণের মানুষদের হিন্দুত্বের কাঠামোর মধ্যে ধরে রেখে মুসলমানদের প্রতি যে আক্রমণাত্মক ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক অবস্থান গ্রহণ করেছে, এ কাজ তাদের পূর্ববর্তী শাসক দল কংগ্রেসও করেছিল। তফাৎ শুধু এ কাজ কংগ্রেস করেছে চুপিসারে, বিজেপি তা এখন করছে প্রকাশ্যে এবং বিজেপির ফ্যাসিবাদী পরিচালক-অঙ্গ ও সহায়ক সংগঠনগুলো– রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এটা করছে প্রকাশ্য সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। নিম্ন বর্ণের হিন্দু ও দলিতদের নিজেদের ভোট ব্যাংকে আটকে রাখার জন্য যত রকম ভণ্ডামী ও ধাপ্পাবাজি করা দরকার বিজেপি তা সাফল্যের সাথে করছে। বিজেপি সমগ্র হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষাকারী কোনো রাজনৈতিক দল নয়। কারণ বিজেপি বর্ণাশ্রমকে অস্বীকার করে বৃহত্তর হিন্দু পরিচয়ে সব হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করতে রাজি নয়। বরং সমাজে নির্মম বর্ণাশ্রয়ী শোষণ, নির্যাতন অব্যাহত রেখে বৃহত্তর হিন্দু পরিচয়ের আড়ালে বিজেপি তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কার্যকর করছে। তাই হিন্দুত্বের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ভারতের অবাম দলগুলোর রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। অবাম রাজনীতির ধারবাহিকতা থেকে এটা বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। ভারতীয় দলগুলো সমগ্র হিন্দুদের জন্য কোনো হিন্দু ধর্মীয় স্বার্থ সংরক্ষক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেনি। তাদের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র বর্ণ-হিন্দু ও বৃহৎ পুঁজির মালিকদের পাহারাদার।

সামনেই রামনবমী। রামনবমী পালনের হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতারা। শুধু যে রামনবমী পালনের হিড়িক বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে – তা নয়। এখানে হনুমান মন্দির আর পুজোর চল যেমন বেড়েছে, তেমনই মূলত মহারাষ্ট্রে যে গণেশ চতুর্থী পালন করা হত, সেটাও পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় করা হচ্ছে। অযোধ্যার রামমন্দির আন্দোলন বা ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়েও কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী পালনের এরকম ধুম পড়েনি। বাংলার এ পর্বে নয়া যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে রামনবমী কমিটি, ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব সমিতি, শাখা সংগঠনগুলো তৈরি হওয়ায় ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্বের উর্বর জমির প্রস্তুতে। ২০১৮ সালে, এ ধরনের কমিটি ও শাখা সংগঠনগুলোর দ্বারা রামনবমীকে কেন্দ্র করে আসানসোলের মুসলমান শ্রমজীবী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে ঘটে গেছে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের ভয়াবহ ঘটনা। প্রাণ গেছে ইমামের তরুণ পুত্রের। পরবর্তী সালগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে, নানা সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, শ্রমজীবী অঞ্চল জুড়ে। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ‘নয়া ভারতে’র শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-মন্ত্রীরা। তবে বাংলার বুকে এই ধর্মীয় হিংসার নয়া সূচনা, রামনবমী অথবা রাম-রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা।

এই যে রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী এসব বেড়েছে গত কয়েক বছরে, তার পেছনে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব রাজনীতির একটা অবদান তো আছেই। কিন্তু একই সঙ্গে বলব গত দশ বছরে এধরণের আরও অনেক পুজো বেড়ে গেছে। আসলে ধর্মটাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় স্তরে ক্ষমতা প্রদর্শন করার একটা উপায় হয়ে গেছে এগুলো। ধর্মকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষকে জড়ো করছে ওইসব ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিরা। তারা নিশ্চিতভাবেই রাজনীতির মানুষ।

সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তাস খেলতে গিয়ে আজ ভারতীয় সমাজ বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে। অথচ যে আগুন সংঘ পরিবার লাগাতে চাইছে আর অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হিন্দু সমাজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখছে, তা লাগলে কিন্তু শুধু মুসলমানেরই ঘর পুড়বে না। তথাকথিত হিন্দু সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ ‘পশ্চাৎপদ’ জাতি-বর্ণের মানুষও তার শিকার হবেন। কারণ সংঘ পরিবারের হিন্দুত্বের খোলস আসলে তার ব্রাহ্মণ্যবাদী আত্মাকে ঢেকে রাখার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি যে পরিমাণে শক্তিশালী হচ্ছে, সেই পরিমাণেই দলিতদের উপর নিপীড়ন তীব্রতর হয়ে উঠছে সারা দেশে।

ভীমরাও আম্বেদকর, পেরিয়ার, জ্যোতিবা ফুলের সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গত ১০০ বছরে যেটুকু জাতি-বর্ণ নিপীড়নবিরোধী সংগ্রামের সাফল্য অর্জিত হয়েছিল, তার প্রায় সবটাই হাতছাড়া হতে যাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যেও তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষ মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না বলে নিদান হাঁকা হচ্ছে। শ্রমিক, কৃষকের মত প্রত্যক্ষ উৎপাদক শ্রেণিগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। তীব্র অর্থনৈতিক ভাঙনে কাঁপছে গোটা দেশ৷

আজকের নয়া ভারত আসলে অগ্ন্যুৎপাতের জন্য প্রস্তুত এক আগ্নেয়গিরির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। মনে রাখা ভাল, নগরে আগুন লাগলে কোনো দেবালয়ই বাঁচে না। আমরা আদৌ কি বুঝতে পারছি যে আমাদের অবস্থা অনেকটা অভিমন্যুর মতো? আমরা আমাদের অজান্তেই চক্রব্যূহের মধ্যে ঢুকে পড়েছি যেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা আমাদের অজানা৷