• facebook
  • twitter
Tuesday, 19 August, 2025

নারী-পুরুষ সম্পর্কের অন্ধকারময় ধারাবাহিকতা: আলোর সন্ধানে

একুশ শতকে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহ শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটলেও আমাদের মানসিক চেতনার সামান্যতম বিকাশ ঘটেনি।

প্রতীকী চিত্র

বরুণ দাস

নারী-পুরুষ সম্পর্কের মধ্যে শুধু অন্ধকারময়তাই নয়, আছে এক জটিলতাও। আসলে যেখানেই অন্ধকার, সেখানে জটিলতাও থাকতে বাধ্য। অর্থাৎ অন্ধকার ও জটিলতা একই মুদ্রার দুই দিকও বটে। সম্পর্কের এই দ্বৈত দিকটা আমাদের অনেকেরই হয়তো কমবেশি জানা। কিন্তু এ থেকে নিজেদেরকে বের করে আনার কোনও অনিবার্য উদ্যোগ কখনও দেখা যায়নি। আমাদের চিন্তার জগতে কখনও আলোড়ন তোলেনি সম্পর্কের এই দ্বৈত দিকটা। অথচ এর সম্মুখীন হচ্ছি প্রতি মুহূর্তে। হয়তো এটাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছি আমরা।

গত ৯ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার বিকেলে জর্জ ভবনে আয়োজিত ‘দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা’র বিষয় ছিল ‘নারী-পুরুষ সম্পর্কের অন্ধকারময় ধারাবাহিকতা: আলোর সন্ধানে।’ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী অধ্যাপক ড. মীরাতুন নাহার ছিলেন এদিনের প্রধান বক্তা। তাঁর পরিশীলিত নাতিদীর্ঘ বক্তব্যের পরতে পরতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নারী-পুরুষ সম্পর্কের অন্ধকারময় ধারাবাহিকতা। যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করে চলেছি আমরা। আজকের একুশ শতকের আধুনিক ও উন্নত সভ্যতার মধ্যেও। কী আশ্চর্য কান্ড!

এমন কি, চিন্তাবিদ ড. মীরাতুন নাহার তাঁর স্মারক বক্তৃতায় স্মৃতির পুরনো পাতা উল্টে বলেন, ছোটোবেলায় পড়েছিলাম ‘জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে-তার নাম মানুষ জাতি।’ আমরাও অনেকেই পড়েছি কথাগুলো। কারও কারও হয়তো স্মরণেও আছে। মীরাতুন বলেন, কিন্তু সত্যিই কী আমরা ‘মানুষ’ হতে পেরেছি? না, ‘মানুষ’ হতে পারিনি আমরা। প্রকৃত ‘মানুষ’ হতে পারলে এই পৃথিবীর চেহারাটাই আমূল বদলে যেতো একথা কোনওভাবে অস্বীকার করা যায় না। কারণ আমাদের চারদিকে মানুষ নামধারীরা থাকলেও প্রকৃত মানুষ কোথায়?

নারী-পুরুষের প্রথাগত পার্থক্য নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পর্যায়ক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে ড. মীরাতুন নাহারের অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্যে এবং এরফলে সমাজে যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভেদ-বিভাজন ও সংঘাত তৈরি হয়েছে তার বিশদ ব্যাখ্যাও দেন এই প্রাজ্ঞ শিক্ষাবিদ। কখনও ব্যক্তিজীবন, কখনও সমাজজীবন, কখনও রাষ্ট্রীয়জীবন-একে একে তুলে ধরেন ওই অনাকাঙ্ক্ষিত বিভেদ-বিভাজন ও সংঘাতের সুনির্দিষ্ট দিকগুলো। তাঁর বলার মাধুর্য, জোরালো যুক্তি আর জীবন থেকে নেওয়া টুকরো টুকরো ঘটনা উপস্থিত শ্রোতাবন্ধুদের মুগ্ধ করে।

নারী-পুরুষ সম্পর্কের অন্ধকারময় ধারাবাহিকতা দেশ জাতি তথা গোটা বিশ্বে পাহাড়-প্রমাণ পার্থক্য কিভাবে সমাজের সম্ভাব্য সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে তার সুন্দর ও সাবলীল বর্ণনা দেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে তিনি নারী-পুরুষের এই অনাকাঙ্ক্ষিত পার্থক্য অতিক্রম করতে পেরেছিলেন যেখানে তাঁর মফঃস্বলী মায়ের ভূমিকা ছিল প্রধান। যদিও তাঁর মা সে অর্থে ‘শিক্ষিত’ ছিলেন না। মায়ের এই সমর্থনের জন্যেই তিনি নিছক মেয়ে কিংবা নারী (যদিও নারী শব্দটিতে তাঁর আপত্তি আছে) নয়, মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছেন।

বাবা যদিও উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তিনি কিন্তু মেয়ের ব্যতিক্রমী মন-মানসিকতা তথা আচরণের ব্যাপারে সমর্থন না জানালেও বাধা দিতেন না। এরফলে মেধাবী মীরাতুন নাহার ওই ছোটোবেলা থেকেই নারী-পুরুষ সম্পর্কের বিষয়ে বিভেদ-বিভাজন অতিক্রম করে সাম্যবাদের জন্ম দিতে পেরেছিলেন। একটা বয়স পর্যন্ত তিনি ছেলেদের পোশাক, বিশেষ করে প্যান্ট পরতেন। পুরুষের সঙ্গে মেলামেশায়ও অহেতুক বেড়া তুলতেন না। বরং সম্পর্কের বেড়া ভাঙতেই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছিলেন। না পুরুষ, না নারী- মানুষ হিসেবেই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।

তাঁর কথায়, এই ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে পারাটাই আমাদের মনুষ্য জীবনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া দরকার, তাহলে সমাজ-সংসারে অনেক জটিল সমস্যারই সমাধান সম্ভব। আমরা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি বলেই নারী-পুরুষ সম্পর্কের শুধু অন্ধকাময়তা নয়, নানাবিধ জট-জটিলতারও জন্ম দিয়েছে। যার কুফল ভুগতে হচ্ছে সমাজের মেয়েদের। উন্নত ও আধুনিক সভ্যতাও যা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। তাঁর আন্তরিক আবেদন—মেয়েরা পোশাকে প্রসাধনে নয়, শিক্ষা-দীক্ষা – ব্যক্তিত্বে – মন – মানসিকতায় নিজেদেরকে নারী নয়-প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।

এরপরই তাঁর প্রশ্ন, মেয়েদেরকে লাঞ্ছিত নিপীড়ন কিংবা ধর্ষণ করে কারা? পুরুষেরাই তো? তারা কারা? তারা তো আমাদেরই পরিবারের, আমাদেরই সমাজের কিংবা আমাদেরই দেশের কেউ-না-কেউ। আসলে নারী-পুরুষ সম্পর্কের যে অন্ধকারময় ধারাবাহিকতা চলে আসছে-তা দূর করতে পারিনি বলেই এটা আজও ঘটে চলেছে। যেখানে উভয়ে হাতে হাত ধরে, কাঁধে কাঁধ রেখে চলার কথা-সেখানে আমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে চলেছি। শিক্ষিত, সভ্য, সচেতন ও উন্নত বলে দাবি করছি অথচ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি।

তাঁর আরও সংযোজন, আমাদের বোধবুদ্ধি, মেধা, চিন্তাচেতনা, মননের দিক থেকে কোনও ঘাটতি নেই। তাহলে কোথায় আমাদের ঘাটতি? তিনি বলেন, আমাদের অন্তর্গত চৈতন্যের উদ্বোধন ঘটেনি। (মনে করুন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ দেবের স্মরণীয় উক্তি ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’) ওখানেই আমরা শতযোজন পিছিয়ে আছি, আমাদের মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাবোধের উন্মেষ ঘটেনি। চিন্তনের গভীরতায় ফাঁক ও ফাঁকি আছে। জীবন-দর্শনের দিক থেকে যার গুরুত্ব অপরিসীম। কেন এই ফাঁক ও ফাঁকি? কারণ আমরা ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে পারিনি।

শুধুই পুরুষ কিংবা নারী হয়ে রয়েছি। তাই তো বিজ্ঞাপনে নারীদেহের এমন দৃষ্টিকটু প্রদর্শন! নিজেদেরকে সহজলভ্য করে ফেলেছে মেয়েরা। কর্পোরেট দুনিয়ার আগ্রাসী ও অশালীন লোভের কাছে নতিস্বীকার করেছে তাঁরা যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। অর্থের লোভে মেয়েরা নিজেদেরকে সস্তা পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে দিচ্ছে! উঠতি বয়সের শিক্ষিত ও অভিজাত শ্রেণির মেয়েদের মধ্যেই এই প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি। একই কথা বিনোদনের আকর্ষণীয় মাধ্যমগুলির ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। যেন শরীর দেখানোর প্রতিযোগিতা চলছে!

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কী আদৌ সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তো কিভাবে? কোন পথে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে? এই অনিবার্য প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, যে প্রয়োজনীয় পাঠ নিজেদের ঘর থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই রয়েছে আমাদের সার্বিক ব্যর্থতা। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের অভিভাবকেরাই ছোটোবেলা থেকে আমাদের মধ্যে নারী-পুরুষের প্রথাগত পার্থক্য এবং অন্ধকারময় সম্পর্কের স্বরলিপি তৈরি করে দেন। যেখান থেকেই শুরু পারস্পরিক বিভেদ-বিভাজন। যা সারা জীবন আমরা বহন করে চলি!

কী সেই পারস্পরিক বিভেদ-বিভাজন? জন্মের পর থেকেই ছেলে-মেয়েদের জন্য পোশাকের বিভাজন। এরই পাশাপাশি উভয়ের কথাবার্তা, চলাফেরা, আচার-আচরণের মধ্যেও একটা কৃত্রিম বিভেদরেখা টেনে দেওয়া হয়। এটা বড়োরাই করে দেন। ছোটোরা কিভাবে তাঁদের কথার অবাধ্য হবে? তারা স্বতঃসিদ্ধভাবেই তা মেনে নেয়। এভাবেই চলছে নারী-পুরুষ সম্পর্কজনিত বিভেদের অনাকাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিকতা। লক্ষ্মণের দেওয়া ‘সীতার গণ্ডি’ পেরিয়ে কেউ আর এগোতেই পারছে না। আমরা সবাই যেন ওই গণ্ডির মধ্যেই শুধু ঘুরপাক খাচ্ছি।

প্রতিনিয়ত মেয়েদের পই পই করে শেখানো হয়— কিভাবে তারা কথাবার্তা বলবে, গলার স্বর কতোটা তুলবে, রুঢ়তা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবে, পুরুষের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে, নারীসুলভ কোমলতা কিভাবে বজায় রাখবে, কখন বাড়ি ফিরবে, সন্ধ্যের পর বাড়ির বাইরে থাকা চলবে না, ছেলেদের সঙ্গে কতোটা মিশবে, এমন কি, কি ধরনের খেলা খেলবে, কি বিষয় নিয়ে পড়বে ইত্যাদি নানাবিধ ওমেন-ওরিয়েন্টেড গাইড লাইন চাপিয়ে দেওয়া হয়। যাপনচিত্রের এই ম্যানুয়াল মেয়েদের ছোটোবেলা থেকেই মগজে ইনজেক্ট করা হয়।

ড. মীরাতুন নাহারের প্রশ্ন, কই, ছেলেদের তো এমন কোনও আচরণই শেখানো হয়না! অন্ততঃ মেয়েদের সঙ্গে সভ্য-ভদ্র-মার্জিত আচরণটুকু করতেও বলা হয় না। নারী-পুরুষের সঙ্গে ঘরের মানুষদেরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য কেন? নারীদেরকে নিছক নারী নয়-কেন মানুষ হিসেবে দেখার জন্য বলা হয় না? যদি বলা হতো তো তারাও অনেকটা সভ্য-ভদ্র-পরিশীলিত হতে পারত এবং ঘরে-বাইরে নারীদের সঙ্গে অভব্য এবং অমার্জিত আচরণে বিরত থাকার অবকাশ পেত বলেই আমার বিশ্বাস। কিন্তু বাস্তবে তা আদৌ হচ্ছে কী?

তবে একথাও ঠিক যে, এর মধ্যেও দু’একজন হয়তো ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘এই যেমন আমি পেরেছিলাম।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ভাববেন না আমি নারী বিদ্বেষী। মোটেই নারী বিদ্বেষী নই। আমি ওই মনুষ্য-কৃত নিষেধাজ্ঞার ঘোরতর বিরোধী। যে নিষেধাজ্ঞা একজন মানুষকে কেবল পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যেই বেঁধে রাখতে চায়। তাঁকে মানুষ হতে দেয় না।’ পুরুষত্ব কিংবা নারীত্বের এই পুরনো ও প্রথাগত গন্ডি টপকে বেরিয়ে আসতে না পারলে এই জগৎ-সংসারের কোনও উপকারও হবে না একথা বলাই বাহুল্য।

কোনও মেয়ে যদি কোনও ব্যাপারে বীরত্ব বা সাহসিকতা দেখায় তো তখনই তাকে বলা হবে, এই তুমি দেখছি ‘ছেলেদের মতো’ আচরণ করছ কিংবা কোনও ছেলে যদি কোনও ব্যাপারে কোমল আচরণের পরিচয় দেয় তো তাকে বলা হবে, এই ছেলে তুমি দেখছি ‘মেয়েদের মতো’ করছ! এই যে নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে আটকে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা-এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। তা নাহলে প্রকৃতমানুষ হওয়া যাবে না। আর মানুষ হতে না পারলে নিজের জন্যে তো বটেই, অপরের জন্যেও কিছু করতে পারা সম্ভব নয়।

কোনও ছেলে যদি কোনও কারণে ভুল করেও কেঁদে ফেলে তো তাকে তৎক্ষণাৎ বলা হয়, এই ‘মেয়েদের মতো’ কাঁদছিস কেন? তুই না ছেলে! তার মানে কাঁদাটা শুধু নারীদেরই একচেটিয়া অধিকার! তাতে কোনওভাবেই ছেলেদের ভাগ (আজকের কথায় শেয়ার করা) বসানো যাবে না। ‘শেয়ার’ করতে গেলেই তাকে স্রেফ ‘নারী’ বলে দেগে দেওয়া হবে! অথচ মাত্রাধিক দুঃখ-যন্ত্রণায় যেকোনও মানুষেরই কাঁদাটাই স্বাভাবিক। তা তিনি পুরুষ কিংবা নারী যা-ই হোন না কেন। নারী-পুরুষের অনুভূতির ক্ষেত্র তো আর আলাদা হয় না!

একুশ শতকে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহ শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটলেও আমাদের মানসিক চেতনার সামান্যতম বিকাশ ঘটেনি। নারী-পুরুষ সম্পর্কের অন্ধকারময় ধারাবাহিকতায় চ্ছেদ টেনে আজও আমরা আলোর সন্ধানে পা বাড়াতে পারিনি। ব্যবহারিক জীবনে শেকড় গেড়ে থাকা নারী-পুরুষের প্রথাগত পার্থক্য উপড়ে ফেলাও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এভাবেই চলে আসছে যুগের পর যুগ। শতাব্দীর পর শতাব্দী। এভাবে আরও কতোদিন চলবে তাও কিন্তু আমাদের জানা নেই। বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার লোক কোথায়?

কারণ আমরা অভিভাবকেরা নিজেরাই সচেতন হইনি। আসলে বিসমিল্লায় গলদ! যে প্রয়োজনীয় পাঠ দেওয়ার কথা নিজেদের ঘর থেকে, সেখানেই তো আমাদের ব্যর্থতা। মেয়েদের পদে পদে বেড়ি পরাতেই আমরা ব্যস্ত। পার্টিতে যাওয়া, ড্রিঙ্ক করা, সিগারেট টানা, রাত করে বাড়ি ফেরা, অভিভাবকদের অগ্রাহ্য করা, লিভ-টুগেদার করা এবং সর্বোপরি অশালীন পোশাক পরা— এসবের মধ্যেই আমরা নিজেদেরকে আটকে রেখেছি! আসলে বাহ্যিক দিকটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি। অন্তর্গত দিকটায় নজর দিইনি!