• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শিল্পীর নবজন্ম

বারবুসের নিকট আপনি যে পত্র লিখিয়াছেন আমার মতে তাহার মূল বক্তব্যঃ লক্ষ্য পবিত্র হইলে যে কোনো উপায়ই পবিত্র—এই নীতির সমালোচনা।

ফাইল চিত্র

রম্যাঁ রলাঁ

পূর্ব প্রকাশিতর পর

Advertisement

অনেক বেশি সহনশীলতার সুরে আমোদে দ্যুনোয়া ব্যক্তিস্বাধীনতার যোদ্ধাগণকে মজুরবাহিনীতে যোগ দিবার জন্য আহ্বান জানাইলেন। (ল্যুমানিতে, ১০ই মার্চ, ১৯২২, ‘‘কমিউনিস্ট ইস্তাহার সম্পর্কে’’)। এবার তিনি নির্ভুল পথ ধরিলেন। তিনি ইহাও বলিতে পারিতেন— অভিজ্ঞতা হইতে ইহার সত্যতা আজ আমি উপলব্ধি করিয়াছি, যে আদর্শের জন্য মজুরশ্রেণী সংগ্রাম করিতেছে তাহার বাহিরে যে কোনোরূপ ‘স্বাধীনতাই’ আলেয়ার আলো। কিন্তু সেদিন তাহার আহ্বানের জবাবে আমি লিখিয়াছিলাম (১০ই মার্চ): ‘‘যখনই মজুরশ্রেণী সত্য ও মানবতাকে সম্মান করিয়া চলিবে তখনই তাহার সাথে আছি!’’ যখনই সে উহাদের অসম্মান করিবে তখনই তাহার বিরুদ্ধে দাঁড়াইব!’’

Advertisement

১৭। বিখ্যাত উদ্যানবিজ্ঞানী মিচুরিনের নামে কোজ্লভ শহর ও জেলার নামকরণ হইয়াছে, আর মানবহৃদয়মালঞ্চের সদাপ্রফুল্ল মালাকর ম্যাক্সিম গর্কির নাম পাইয়াছে নিজনি নভোগোরোদ। ইহার উপর পামিরের উত্তুঙ্গ পর্বতচূড়া ও শহরগুলির কথা ত’ ছাড়িয়াই দিলাম; লেনিন, স্টালিন প্রমুখ বিরাট সমাজস্রষ্টা বীরগণের নামে তাহাদের নামকরণ হইয়াছে।

১৮। ১৯২১ সালের ২০ ডিসেম্বর গর্কির কাছে আমি বারবুসের নিকট লিখিত আমার প্রথম পত্রখানি পাঠাইয়াছিলাম। স্যাঁ ব্লাজিয়াঁ হইতে ১৯২২ সালের ৩রা জানুয়ারী তারিখে গর্কি নিম্নলিখিত উত্তর পাঠানঃ
‘‘বারবুসের নিকট লিখিত আপনার পত্রখানি চমৎকার এবং আপনার ও আমার চিন্তায় সম্পূর্ণ ঐক্য রহিয়াছে দেখিয়া আমি যে কত খুশি হইলাম তাহা বলিতে পারি না। আপনার ভাবধারাকে আমি ভালোবাসি ও মূল্যবান বলিয়া মনে করি; গত কয়েক বৎসর ধরিয়া আমার নিজের দেশে উহা অবিশ্রাম বলিয়া আসিতেছি।
২৫শে জানুয়ারী তারিখে তিনি লিখিলেনঃ

‘‘বারবুসের নিকট আপনি যে পত্র লিখিয়াছেন আমার মতে তাহার মূল বক্তব্যঃ লক্ষ্য পবিত্র হইলে যে কোনো উপায়ই পবিত্র—এই নীতির সমালোচনা। লক্ষ্য কি?

(ক্রমশ)

Advertisement