• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

পাকিস্তানকে বিশ্বাস করা যায় না— আজ যা বলে কাল তার বিপরীত কাজ করে

কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধি সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন বলে যা বলা হয়েছে, তা বিরোধী সাংসদদের এবং দেশবাসীকে জানাতে অবিলম্বে সংসদের অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন। তবে এই অধিবেশন ডাকা হবে কিনা, সে সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সব নেতা সাম্প্রতিক পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সৈন্যরা যে বীরত্ব ও পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য তাদের সাধুবাদ জানান।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

নারায়ণ দাস

একটা যুদ্ধ বা সংঘর্ষ সে স্বল্পকালীনই হোক, আর বেশি দিনেরই হোক, লাভ-ক্ষতির হিসেব করতেই হয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই দিন কয়েকের সংঘর্ষে ভারতের লাভই কী হল বা পাকিস্তানের লাভ-ক্ষতির পরিমাণই বা কোথায় গিয়ে দাঁড়াল? যদি ভারতের শীর্ষ সেনাবাহিনীর কর্তাদের দাবি মানতে হয়, তাহলে নির্দ্ধিধায় বলা যায় ভারতের সবচাইতে বড় লাভ কাশ্মীর সীমান্ত এবং অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গিঘাঁটি এবং তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলি সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে। জঙ্গিদের এই আস্তানাগুলি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মদতে এবং অর্থ সাহায্যে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। এইসব জঙ্গি সেন্টার তেকেই তারা ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নাশকতামূলক কাজ চালাত। সম্প্রতি পহেলগামে ২৫ জন পর্যটককে তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের সামনে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করল, সেটাই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাঁদের সহধর্মিণীদের সিঁথির সিঁদুর মুছতে হল। বিশ্বের সব দেশ পাকিস্তানের মদতপুষ্ট পহেলগামের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করল। ধিক্কার জানাল পর্যটকদের হত্যায়। পাকিস্তান তার প্রতিপালিত জঙ্গিদের দিয়ে এই জঘন্য কাজ করিয়ে বিশ্বের সব দেশের কাছে নিন্দিত ও ধিক্কৃত হল।

ভারতের প্রত্যাঘাত তো করতেই হয়। ১৪০ কোটি দেশবাসীর দাবি— পহেলগামর হত্যার প্রতিশোধ নিতেই হবে। পুলওয়ামারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নিকেশ করেছিলি জঙ্গিরা— তার জবাব বা প্রতিশোধ ভারত নিয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। এবারও দেশবাসী প্রহর গুনছিল কখন ভারত প্রত্যাঘাত করবে পহেলগামের হত্যাকাণ্ডের? একটু দেরি দেখে ধৈর্যের বাঁধ যেন আর মানছিল না। তারপর সেই প্রত্যাঘাত এল ৭ মে জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলি উড়িয়ে দিয়ে। সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের দাবি, প্রায় ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে ভারতের এই হানায়। তাদের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী চার-পাঁচজন জঙ্গিও রয়েছে। তাদের বীরের মর্যাদায় পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা দিয়ে কফিন মুড়ে সমাহিত করা হল। প্রমাণ মিলল ওই জঙ্গিদের লালন-পালন করছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতীয় প্রত্যাঘাতের উত্তরে পাক সেনারা গুলি চালিয়ে হত্যা করল জম্মুকাশ্মীর সীমান্তে বসবাসকারী ১০ জন নিরীহ ভারতীয় নাগরিককে।

তারপর? এখানেই শেষ নয়। ভারতের সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের যে কোনও আক্রমণকে প্রতিহত করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগামের প্রত্যাঘাতের পরই পাকিস্তান আক্রমণ বন্ধ করল না, তখন ভারতীয় স্থল, জল ও বায়ু সেনাবাহিনী পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গিয়ে আক্রমণ শানাল। তাদের র্যাডার ধ্বংস করে দিল, এয়ারবেস অকেজো করে দিল ভারতীয় যুদ্ধ বিমানগুলি। সেগুলির মধ্যে ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানও ছিল। পাকিস্তানের সেনা ছাউনিও ধ্বংস করে দেওয়া হল। লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি এবং করাচিতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটাল ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানও বসে থাকেনি। পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান ভারতের সীমার মধ্যে ঢোকার আগেই তাদের ফিরিয়ে দিল। বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বিমানকে ভূপতিত করল ভারতীয় বায়ুসেনা। চিন থেকে কেনা পিএল-১৫ ক্ষেপনাস্ত্রও ধ্বংস করা হল। যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্ত থেকে গোলাগুলি বর্ষণ করে করাচি বন্দরের ক্ষতি করা হল। পাকিস্তানের বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে পাকিস্তানের মাটিতেই। ভারতীয় বাহিনীর শীর্ষকর্তারা দাবি করলেন ৩০ থেকে ৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়েছেন। সুতরাং ভারতের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তান দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। কোনও দিক থেকেই সাফল্যের মুখ দেখা গেল না।

ভারতের ক্ষতি কী হল? শীর্ষকর্তারা বললেন, যুদ্ধ এখন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তান আক্রমণ করলে ভারত প্রত্যাঘাতের জন্য সর্বদাই প্রস্তুত। তাই এই পরিস্থিতিতে, ঠিক এই মুহূর্তে ভারতের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যা তথ্য তাঁদের কাছে আছে, সময় এলে তা দেশবাসীকে জানানো হবে। ভারতের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে যখন পাকিস্তান দিশেহারা এবং তিন সেনাবাহিনীর বীর জওয়ানরা যে পরাক্রম দেখাচ্ছে তাতে ভারতের কাছে সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানকে আরও পর্যুদস্ত করা এবং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার। ভারতের বীর সেনারা যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে নাস্তানাবুদ করা হচ্ছে, তখন হঠাৎই দেশবাসী শুনল অবিলম্বে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার কথা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোস্যাল পোস্টে এই সংঘর্ষ বিরতির কথা দেশবাসী প্রথম জানতে পারল।

গর্জে উঠল সারা দেশ। বিরোধী দলের নেতারা প্রশ্ন তুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আগ বাড়িয়ে কেন এই ঘোষণা করতে গেলেন? তাঁর মধ্যস্থতা তো ভারত চায়নি। তবে কেন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ? সারাদেশে সমালোচনার ঝর উঠল। ট্রাম্প দাবি করলেন তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা করে দুই দেশকে আণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বাঁচালেন। তাঁর আরও আস্ফালন, তাঁর কথা না শুনলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংঘর্ষ বিরতির পর যে ভাষণ দিলেন তাতে তিনি ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপের কথা তো উল্লেখ করলেনই না, বরং বললেন, ভারতের আক্রমণে পাকিস্তান যখন দিশেহারা তখন ওই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল এবং মিলিটারি অপারেশন ভারতের কাউন্টারপাটকে অনুরোধ করেন সংঘর্ষ বিরতির। পাকিস্তান আর আক্রমণ করবে না—ভারত তা মেনে নিক। সুতরাং সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করা হল ভারতের পক্ষে। দেশবাসী স্তম্ভিত। কারণ ভারত সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তানকে আরও নাস্তানাবুদ করার।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই যদি মধ্যস্থতা করে থাকেন, তা হবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি পরিপন্থী। কারণ এই চুক্তিতে বলা হয়েছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে অথবা কাশ্মীর নিয়ে কোনও বিরোধের সূচনা হলে অন্য কোনও দেশের মধ্যস্থতা মানা হবে না সেই বিরোধ মেটাতে। সুতরাং ট্রাম্পের মধ্যস্থতা সিমলা চুক্তিকে লঙ্ঘন করল। ট্রাম্প প্রমাণ করতে চাইলেন, আমেরিকা সুপার পাওয়ার— তাই তাঁর দাদাগিরি। কিন্তু ভারতের বীর সেনাদের কাছে এটি অসম্মানজনক।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে ভারতীয় বীর সেনাদের স্যালুট জানিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী যে এখন কত শক্তিশালী এবং সংগঠিত, তা তাঁরা প্রমাণ করেছেন। দেশবাসী তাঁদের জন্য গর্বিত। মোদী বলেছেন, পহেলগামে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে মহিলাদের সামনে তাঁদের স্বামীদের হত্যা করেছিল। তাঁদের সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, ‘অপারেশন সিঁদুর’ তার বদলা নিল। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান যে শিক্ষা পেল, তারপরেও যদি পাকিস্তান হামলা চালায়, তার যোগ্য জবাব দিতে ভারত সর্বদাই প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন বিএসএফের জওয়ানদেরও— তাঁরা ভারতের সেনাদের সহযোগী হিসেবে যে শৌর্য বীর্যের পরিচয় দিয়েছে, তার জন্য। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং জঙ্গিদের নিকেশ করা ভারতের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান যে শিক্ষা পেল, তা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ভুলবে না।

কিন্তু তাই কি? নয়টি প্রধান জঙ্গি সংগঠনের ডেরা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভারতীয় সেনারা ধ্বংস করল বটে, কিন্তু পাকিস্তানে যেসব জঙ্গি এখনও জীবিত, ভবিষ্যতে তাদের মদত দেবে না, অর্থ সাহায্য দিয়ে তাদের পুষ্ট করবে না তারা? পাকিস্তান এমন একটা দেশ, সে দেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের কমবেশি জন্ম দিয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান কাজই হল সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজে সহযোগিতা করা। তা না হলে কি নিহত জঙ্গিদের কফিনের সামনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপরের স্তরের নেতাদের দেখা যায়? কথায় বলে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ— কিন্তু পাকিস্তান এমন একটা দেশ যাকে বিশ্বাস করা যায় না। বিশ্বের অন্য কোনও দেশকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু পাকিস্তানকে কখনও নয়। পাকিস্তান আজ যা বলবে, কাল তার ঠিক বিপরীত কাজ করবে। সুতরাং পাকিস্তানের দেওয়া কথার কোনও মূল্য নেই। পাকিস্তানের নেতাদের বিশ্বাস করা যায় না।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। কেন তাঁর মধ্যস্থতা মানল ভারত? যদি তা সত্যিই হয়ে থাকে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সে কথার কোনও উল্লেখ নেই। প্রধানমন্ত্রী বায়ু সেনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁদের পরাক্রমের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান যদি সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে, তাহলে ভারত সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাঘাত করবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও কথা হলে তা হবে পাক অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। পাকিস্তানে এবং সারা বিশ্ব দেখল ভারত প্রত্যাঘাত করতে জানে। এরপরও যদি পাকিস্তানের শিক্ষা না হয়, তাহলে কপালে দুঃখ আছে! ভারত পাকিস্তানিদের ঘরে ঢুকে তাদের মারবে। সংঘর্ষ বন্ধ হলেও, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা আবার মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী এলাকা সোপিয়ান থেকে গুলিবর্ষণ করে— ভারতের সেনারা যোগ্য জবাব দেয় এবং তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করে। এর আগে ভারত তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে দেয়। এই জঙ্গিদের মধ্যে একজন কমান্ডার। তিনজনই লস্কর সদস্য। সোপানের পাইন জঙ্গলে আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা, ভারতের সেনারা সেই জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে।

এদিকে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে পাকিস্তানে তীব্র জলকষ্ট দেখা দেবে। চন্দ্রভাগা নদীর জলের লকগেট প্রোজনমতো বন্ধ বা খোলা রাখা হবে। এদিকে আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে যে বিরোধ চলছে, তা মেটাতে মধ্যস্থতা করবে না। তারা স্বীকার করেছে বিষয়টি এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। সুতরাং আমেরিকা নাক গলাচ্ছে বলে যা বলা হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা।

কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধি সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন বলে যা বলা হয়েছে, তা বিরোধী সাংসদদের এবং দেশবাসীকে জানাতে অবিলম্বে সংসদের অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন। তবে এই অধিবেশন ডাকা হবে কিনা, সে সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সব নেতা সাম্প্রতিক পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সৈন্যরা যে বীরত্ব ও পরাক্রমের পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্য তাদের সাধুবাদ জানান। জোটের নেতারা বলেন, ভারত সামরিক দিক থেকে পাকিস্তানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী তার প্রমাণ মিলল। স্থল, জল ও বায়ুসেনারা যে শৌর্য ও সাহসের পরিচয় দিয়েছে তা প্রশংসানীয়।