জাস্টিস গাঙ্গুলি, আপনার দুর্নীতিবিরোধী জেহাদ সার্বিক নয়, রাজনীতি ভেদে বড্ড বেশি সিলেকটিভ

Written by SNS March 19, 2024 1:37 pm

শ্যামল কুমার মিত্র
গত ৩ মার্চ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলি ঘোষণা করলেন, ৫ মার্চ তিনি বিচারপতি পদে তাঁর পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন৷ জাস্টিস গাঙ্গুলি পণ্ডিত মানুষ৷ ৫ মার্চ পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পর, সংবাদমাধ্যমে একথা ঘোষণা হলে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতির সুউচ্চ পদের গরিমার পক্ষে সম্মানজনক হত৷ একজন সরকারি আধিকারিক অবসর গ্রহণের আগে স্বেচ্ছাবসর নিতে চাইলে, তিনি আবেদন করবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমোদন দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন৷ সরকারি কর্মী/আধিকারিকদের আগাম অবসরের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষ৷ অথচ একজন কর্মরত বিচারপতি পদত্যাগপত্র দিলেই তা কার্যকর হয়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়৷ একজন সরকারি কর্মী/আধিকারিক ও একজন বিচারপতি— উভয়েই পাবলিক সার্ভেন্ট, উভয়ের বেতন/পেনশন মানুষের করের টাকায়৷ তাহলে স্বেচ্ছাবসরের অধিকারের প্রশ্নে এমন বৈষম্য কেন? ৪ মার্চ জাস্টিস গাঙ্গুলি সাংবাদিক সম্মেলনে একটি রাজনৈতিক দলের তীব্র সমালোচনা করলেন, ৫ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘‘শেষ সাতদিন বিজেপির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ দু’পক্ষের সহমতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ অর্থাৎ জাস্টিস গাঙ্গুলির নিজের কথায় তিনি কর্মরত অবস্থায় একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাত দিন ধরে ‘পলিটিক্যাল মার্কেটিং’ করেছেন৷ এই দুটি কাজই একজন বিচারপতির চাকুরি শর্তের, জনআস্থার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এবং শব্দচয়নে যথেষ্ট সতর্ক থেকেই বলছি, সংবিধান ও আইন অনুসারে ‘অপরাধ’৷ সংবিধান, আইন প্রত্যাশা করে, মানুষ বিশ্বাস করে একজন কর্মরত বিচারপতি নিরপেক্ষ হবেন, রাজনীতি করবেন না৷ এই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক মঞ্চে ওঠার অপরাধে সরকারি কর্মীর চাকরি গেছে, আর কর্মরত অবস্থায় নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়তে একজন বিচারপতি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দরকষাকষি করবেন? কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুন৷

২০১২ সাল থেকে এ রাজ্যে সর্বস্তরে নিয়োগ দুর্নীতি ‘সরকারি কর্মসূচী’ হিসাবেই চলেছে৷ হাজার হাজার যোগ্য কর্মপ্রার্থী বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ এজেন্সির বাছাই প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার পরেও চাকরি পাননি, তাদের প্রাপ্য চাকরি নগদ অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, সাংবিধানিক সংস্থা পিএমসির একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আওতার বাইরে নয়৷ এইসব বঞ্চিত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাংশ ধর্মতলায় অনেকগুলি জায়গায় বছরের পর বছর পুলিশি অত্যাচার, রোদ, জল, বৃষ্টি, শীত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে, আক্ষরিক অর্থে, অবর্ণনীয় কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন, মিছিল-মিটিং করছেন, কিন্ত্ত আজও তাঁদের প্রাপ্য নিয়োগটুকু পাননি৷ ২০১৮ সালের মে মাসে জাস্টিস গাঙ্গুলি কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন৷ ২০২০ এর জুলাই মাসে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হন৷ জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাগুলি আসে৷ জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলি, জাস্টিস অমৃতা সিনহা, জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা, জাস্টিস বিশ্বজিৎ বসু, জাস্টিস জয় সেনগুপ্ত সহ একঝাঁক বিচারপতির আদালতের প্রচলিত ‘তারিখ-পে-তারিখ’ সংস্কৃতির ঊর্ধ্বে উঠে, শাসক দল ও সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অস্বাভাবিক দ্রুততায় একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তসহ এমন সব রায় ও নির্দেশ দিতে থাকেন যাতে এ রাজ্যে দুর্নীতির ব্যাপকতা এবং তাতে নেতা, মন্ত্রী, সরকারি আমলা সহ প্রভাবশালীদের যুক্ত থাকার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ দুর্নীতির অভিযোগে অনেক প্রভাবশালী গ্রেফতার হন, দুর্নীতিগ্রস্তদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়, দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়৷ অনেকের মধ্যে ধারণা তৈরি হয় কলকাতা হাইকোর্ট আক্ষরিক অর্থে ‘জনগণের আদালত’ হয়ে উঠেছে৷ জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়/নির্দেশগুলির একটিকেও ভুল বা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলা যাবে না, কারণ তাঁর প্রতিটি রায়/নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ মামলা করেছেন— এ পর্যন্ত একটি রায়/নির্দেশও খারিজ হয়নি৷ তাই প্রত্যেকটি রায় ও নির্দেশ একাধিক আইনি ছাঁকনির মধ্য দিয়ে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ তাই পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য জাস্টিস গাঙ্গুলিসহ অন্য বিচারপতিদের উচ্চ প্রশংসা প্রাপ্য৷ কিন্ত্ত জাস্টিস গাঙ্গুলির একটি নির্দেশে আমি, ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত হতাশ হয়েছিলাম৷ প্রচলিত সিস্টেমে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া এবং ঘুষের বিনিময়ে যেসব অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী যোগ্যদের বঞ্চিত করে চাকরি করছেন, তাদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বহিষ্কার একটি অতি দীর্ধ আইনি প্রক্রিয়া৷ আদৌ অভিযুক্তদের শাস্তি হবে বা অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের চাকরি যাবে এবং সেই পদগুলি শূন্য হবে— এমন নিশ্চয়তাও নেই৷ আদালত এখনও পর্যন্ত এমন নির্দেশ দেয়নি যে, ‘সরকারি চাকরি পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি করা বঞ্চিতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখুন, অভিযোগ সত্য হলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের নিয়োগ দিন’৷ একথা সত্য, আদালতের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে যোগ্য ও নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হয়েছেন, এমন দাবি করা কর্মপ্রার্থীদের কোনও উপকার হয়নি, তাঁদের ‘হকের চাকরি’টা তাঁরা ফেরতও পাননি, পাবার কোনও আইনি/প্রশাসনিক নিশ্চয়তাও আসেনি৷ তাঁরা আগেও যে তিমিরে ছিলেন আজও সেই তিমিরেও আছেন৷ অর্থাৎ সোজা কথায় আদালত বা সরকার বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ‘হকের চাকরি’ ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ, তাঁদের যন্ত্রণা, হাহাকার, চোখের জল রাজনীতির উপকরণ হিসাবে ব্যবহূত হয়ে চলেছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাসে প্রস্তাব এসেছিল, সুপার নিউম্যারিক পদ তৈরি করে সেই পদে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ, সঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়াদেরও এই পদে নিয়োগ করে কার্যত বেআইনি চাকরি আইনি বৈধতা৷ তথাকথিত ‘ব্যতিক্রমী নিয়োগ’কে বৈধতা দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ সমর্থনযোগ্য নয়, তাই জাস্টিস গাঙ্গুলি এই নির্দেশ দিতেই পারতেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যায় সুপার নিউম্যারিক পোস্ট তৈরি করে সেইসব পদে একমাত্র যোগ্য, সরকারি নিয়োগ এজেন্সির বাছাই প্রক্রিয়ায় সফল চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করুক সরকার, তবে এইসব পদে অন্য কোনও নিয়োগ করা যাবে না৷ এমন নির্দেশ দিলে হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ‘হকের চাকরি’ ফিরে পাওয়ার একটা রাস্তা খুলে যেত৷ অতীতে এই ধরনের পদ তৈরি করে তাতে নিয়োগ হয়েছে, এই ধরনের পদে নিয়োগ হলে নিযুক্ত চাকরিজীবীর চাকুরিগত কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়৷ আমার মনে হয়েছিল জাস্টিস গাঙ্গুলি কি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা জিইয়ে রাখলেন? বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা সরকার/আদালতের কাছে কোনও দয়া/অনুকম্পা/বিশেষ সুযোগ চাননি, তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমরা আমাদের যোগ্যতা, মেধার প্রমাণ দিয়ে সরকারি নিয়োগ এজেন্সির বাছাই প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছি, কিন্ত্ত আমাদের সেই ‘হকের চাকরি’ আমাদের না দিয়ে অযোগ্যদের বিক্রি করে দিয়েছে সরকার৷ সেই ‘হকের চাকরি’ ফিরিয়ে দিন৷’’ ৫-১০ বছর অপেক্ষা করেছেন, আর কতকাল অপেক্ষা করা সম্ভব৷ তাই সুপার নিউম্যারিক পোস্টে এদের নিয়োগ হলে, নিয়োগটা তো পেতেন৷ জাস্টিস গাঙ্গুলি কেন সুপার নিউম্যারিক পোস্টে অবস্থানরত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে সবুজ সংকেত দেননি তার নেপথ্যে আছে এইসব ধরনা মঞ্চে অবস্থানরত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নে, তিনি যা বলেছিলেন তা হুবহু তুলে ধরছি, ‘‘চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চ সম্পর্কে আমার নিজস্ব রিডিং হচ্ছে, এই ধরনা দেওয়ার কোনও মানে হয় না৷ তৃণমূলেরই কিছু দালাল টাইপের লোক আছে ওখানে, তারা ধরনাটা চালাচ্ছে, যদি তালে গোলমালে কোনওভাবে একটা চাকরি পেয়ে যাওয়া যায়৷’’ তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও আমার সংগ্রহে আছে৷ যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা জাস্টিস গাঙ্গুলিকে ‘ভগবান’-এর আসনে বসিয়েছিলেন, সেই চাকরিপ্রার্থীদের ‘তৃণমূলের দালাল টাইপের লোক’ বলে দেগে দিয়েছেন সেই ‘তথাকথিত ভগবান’৷ জাস্টিক গাঙ্গুলি যে রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন, সেই দলের নেতৃত্ব কি এই বক্তব্যে সহমত?

জাস্টিস গাঙ্গুলি সহ যে ক’জন বিচারপতি দুর্নীতির মামলাগুলিতে দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বলে মানুষ বিশ্বাস করে, জাস্টিস গাঙ্গুলি বাদে তাঁদের কেউ বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমে উঠে আসার মতো অবিচারপতিসুলভ কাজ করেননি৷ একজন কর্মরত বিচারপতির সীমা সম্পর্কে সচেতন থেকে তাঁরা বিচারের কাজটা করে গেছেন, তাঁদের একাধিক রায়ে ইতিহাস তৈরি হয়েছে৷ জাস্টিস গাঙ্গুলি নজিরবিহীনভাবে এক একমাত্র ব্যতিক্রম৷ ঘোরতর প্রচারমুখী জাস্টিস গাঙ্গুলি জানতেন, আদালতে বসে, সংবাদমাধ্যমে কখন কার বিরুদ্ধে কী ধরনের মন্তব্য করলে তা খবরের শিরোনাম এবং রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে জিইয়ে থাকতে পারে৷ আগে ভেবেছি, ৫৬ বছর বয়সে বিচারপতি হয়েছেন, স্বল্প অভিজ্ঞতায় হয়ত বিচারপতিসুলভ আচারআচরণ রপ্ত করে উঠতে পারেননি৷ এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, দুর্নীতি মামলার বিচার করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, যোগ্য নিয়োগ প্রার্থীদের কান্নাকে মূলধন করে, উনি আগাগোড়া সংবাদমাধ্যমকে সচেতন পরিকল্পনায় ব্যবহার করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত দুর্নীতি বিরোধী উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরির কাজে, যা ভবিষ্যতে রাজনীতির ময়দানে কাজে আসবে৷

রাজনীতিতে আসার সময় নির্বাচনটাই বলে দেয় উনি সুবিধাবাদী৷ আগস্ট, ২০২৪-এ উনি অবসর নিতেন৷ পাঁচ মাস পরেও ওনার ভাষায় ‘বৃহত্তর ক্ষেত্রে’ আসতে পারতেন৷ কিন্ত্ত পাঁচ মাস পরে, অবসরের পর রাজনীতিতে এলে ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়তে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত৷ তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুনিশ্চিত আশ্বাস পেয়ে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে রাজনীতিতে৷ এখন তাঁর এজলাসে যে সব মামলা ছিল, তাতে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ কম, তাই সংবাদমাধ্যমে ‘হিরো’ হওয়ার সুযোগও প্রায় ছিল না, পাঁচ মাস সময়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সূত্রে তৈরি হওয়া ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তায় ভাঁটাও আসতে পারত৷ ব্যক্তি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোন দলে যোগ দেবেন সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়৷ শুভেন্দু অধিকারর বক্তব্যের একটি ভিডিও আমার সংগ্রহে আছে, যে ভিডিওতে তিনি বলছেন, ‘‘আপনারা যাই বলুন, নারদা ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই৷’’ নারদা স্ক্যামে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং এটিকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত দুর্নীতির অভিযোগ বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন, অথচ গুরুদক্ষিণা দিতে সদ্য রাজনীতিক হওয়া অভিজিৎবাবু বলছেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন কাগজের পিছনে টাকা ছিল? নারদা একটা চক্রান্ত, কোনও দুর্নীতি নয়৷’’ গাঙ্গুলিমশাই একটু বলবেন, কাগজের পিছনে কি শ্রীমৎ ভাগবীতা ছিল? বিজেপির দুর্নীতির পক্ষে ওনার প্রথম সওয়ালই স্পষ্ট করে দিল, জাস্টিস গাঙ্গুলির দুর্নীতি বিরোধী জেহাদ সার্বিক নয়, কে দুর্নীতি করেছে তার নিরিখে বড্ড বেশি সিলেকটিভ৷