কুশল চক্রবর্তী
কৌটিল্যের বিখ্যাত গ্রন্থ অর্থশাস্ত্র হারিয়ে যাওয়া ভারত সহ প্রাচ্যের দুর্ভাগ্য। তা না হলে প্লেটো অ্যারিস্টোটলের সঙ্গে কৌটোলের নাম উচ্চারিত হতো। আমরা রাজনীতির পড়ুয়ারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অ্যারিস্টোটলকে মান্যতা দি, কিন্তু এটা প্রকৃতপক্ষে আমাদের অজ্ঞতা ।কারণ আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে ভারতের বিখ্যাত পন্ডিত রাজনীতিবিদ কৌটিল্য রাজনীতি, প্রশাসন ,সামাজিক পারিবারিক এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে যে তত্ত্ব লিখে গেছেন আজ পর্যন্ত তার সমতুল্য কিছু পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কৌটিল্যের রাজমন্ডল তত্ত্বের তুলনা হয় না। রাজ মন্ডল তত্ত্বে কৌটিল্য দেখিয়েছেন যে, একটি রাষ্ট্র তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে এবং দূরে অনেক দূরের রাষ্ট্রের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক রেখে চলবেন তার রূপরেখা। এটা অনস্বীকার্য যে গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের কোন তুলনা হয় না, তার মত বিখ্যাত দার্শনিক পন্ডিত সত্যিই খুঁজে পাওয়া ভার, তার প্রতিভা কে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তথাপি প্লেটো -অ্যারিস্টোটল বা রোমান দার্শনিকদের লেখায় কিন্তু বিশ্ব রাজনীতি বা আন্তর্জাতিক বিষয়ের সুচিন্তিত তথ্য আমরা পাইনা যা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তত্ত্বের অন্যতম নীতি হলো শত্রুর শত্রু আমার মিত্র। এই বাস্তববাদী রাজনীতির প্রয়োগ যা হাজার হাজার বছর ধরে ভারত সহ সারা বিশ্বের রাজনীতিবিদরা মেনে চলছে। ভারত নীতিবাগীস আদর্শবাদী হলেও সাম্প্রতিক কালে ভারত -তালিবান সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর সুন্দর প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই।
Advertisement
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র বিশেষত রাজমন্ডল তত্ত্বের কথা এখানে বিশেষ প্রাসঙ্গিক। কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র কে যদিও অনেকে অর্থবিজ্ঞান সম্পর্কিত বই বলে থাকেন কিন্তু অর্থশাস্ত্র প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র সম্পর্কিত। অর্থশাস্ত্র বলতে এখানে ওয়ে অফ লাইফ কে বোঝানো হয়েছে। বইটি অ্যারিস্টোটলর দ্যা পলিটিক্স গ্রন্থের সমসাময়িক হলেও তার প্রচার ভারত তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে ছিল না। ১৯০৫ সালে আবিষ্কারের পর থেকে বর্তমান কালে এই রাজমন্ডল তত্ত্ব সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, অনেক বিলম্বে হলেও কৌটিল্য তাঁর যথাযোগ্য সম্মান পেয়েছেন। তিনি কতটা প্রাসঙ্গিক তা আমরা প্রমাণ পাই ভারত আফগান সম্পর্কে মধ্যে দিয়ে যেখানে “শত্রুর শত্রু আমার মিত্র” এই নীতি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
Advertisement
২০২১ সালের ১৫ অগাস্টে আফগানিস্তানের একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বারের জন্য শাসন ক্ষমতা দখল করে তালিবান পরিচালিত তালিবান সরকার। তারপর থেকেই আফগানিস্তানের সব রকমের উন্নয়নমূলক বিশেষত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি তালিবান প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। কারণ তালিবানরা শরীয়ত নির্ভর এবং অত্যন্ত উগ্র গোঁড়া মুসলিম মানসিকতায় বিশ্বাসী। ২০২১ এর ক্ষমতা দখলের পর থেকে ভারতের সাথে তালিবান প্রশাসনের না বন্ধু না শত্রু একরকম সম্পর্ক চলতে থাকে। কাবুলের দূতাবাস ভারত বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ভারত তার নীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী করোনার সময় থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত ভূমিকম্প, খাদ্যাভাব প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী, ওষুধ পাঠানো এবং আফগানিস্তানের উন্নয়নে অংশ নিয়ে চলেছে। তবে ভারত সব সময় চেয়েছে আফগান মাটিকে ভারত বিরোধী সন্ত্রাস কাজে ব্যবহৃত না হতে দেওয়া ও অভ্যন্তরীণ স্থিতাবস্থা ও পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি। যার সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বর্তমানে আফগান বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ছয় দিনের ভারত সফর।
আলোচনা শুরুতেই আমি কৌটিল্যের মন্ডল তত্ত্বের বর্তমান প্রাসঙ্গিকতার কথা বলেছি। তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ভারতের বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় মাথা ব্যথার কারণ হলো পাকিস্তান এবং এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবথেকে প্রধান শত্রু হলো আফগানিস্তান তাই আফগানিস্তান সেক্ষেত্রে ভারতের শত্রুর শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। তাই পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক নতুন করে তৈরি করা এখন ভারতের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদিও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এই ভারত সফর হঠাৎ কোন বিষয় নয়। কারণ সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু ঘটনার ধারাবাহিকতার ফল এই ভারত সফর । চলতি বছরে শুরুর দিকে দুবাইয়ে মুত্তাকির সাথে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রির বৈঠকের পর থেকেই তালিবান সরকার ভারত সম্পর্কে তার ধারণা পরিবর্তন করতে থাকে এবং দুবাইয়ের বৈঠকে তালিবান প্রশাসন ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে, এবং ভারত সরকারি স্বীকৃতি না দিলেও কাবুলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে গুরুত্ব দিয়েছে। পহেলগাও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার পরে আফগান প্রশাসন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করে পেহেলগাঁও হামলার অত্যন্ত নিন্দা করেন। সম্প্রতি রাশিয়াতে মস্কো ফরম্যাট কন্সাল্টেশনের সপ্তম বৈঠকে আফগানিস্তানের বারাগ্রাম বিমান ঘাঁটি টি আমেরিকা পুনর দখল করতে চায় যার বিরোধিতা করে বহু দেশ। এই সপ্তম বৈঠকে ভারতও অংশগ্রহণ করে এবং যৌথভাবে বৈঠকের শেষে সব রাষ্ট্রই আমেরিকার এই বিমান ঘাঁটি অধিগ্রহনের ইচ্ছার নিন্দা করেন, যার মধ্যে চীন, ইরান, কাজাকাস্থান, রাশিয়া ,তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তা প্রভৃতি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
ভারতের বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে আরেক চিন্তার কারণ হলো ভারত মার্কিন সাম্প্রতিক সম্পর্ক। বাইডেন প্রশাসনে সাথে ভারত সরকারের অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ অন্য মাত্র নেয় (মোদী ট্রাম্পের পুরনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও)। আমরা জানি ট্রাম্পের কাছে ব্যক্তি স্বার্থ ও ব্যক্তি সম্পর্কই হলো প্রধান। যে কারণে ইলন মাস্ক এর সাথেও তার ব্যক্তি সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এবং সাম্প্রতিক কালে মোদী-ট্রাম্প সম্পর্কে ওটা অব্যাহত।
এই কারণে ভারতকে চাপে রাখার জন্য মার্কিন প্রশাসন ভারতের ওপর যেমন ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে এবং একই সাথে ভারতের শত্রু পাকিস্তানের সাথেও সেই সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে। যে কারণে সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সাহাবাজ শরীফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির কে হোয়াইট হাউসে ডেকে অব্যর্থনা জানিয়ে বৈঠক করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের হাতে অত্যাধুনিক এইম ১২০ ও এআইএম ১২০ , advance medium-rince, এয়ার টু এয়ার মিসাইল বিক্রি করতে চলেছে। কারণ ট্রাম্পের কাছে লক্ষ্য একটাই ‘সোনার হরিণ চাই ‘ (নোবেল শান্তি পুরস্কার) । এই লক্ষ্যে যে দেশ তাকে সহায়তা করবে সেই তার মিত্র।এখানে সু প্রতিষ্ঠিত বিদেশ নীতির কোন ভূমিকা নেই।
ভারত আফগানিস্তান বৈদেশিক সম্পর্ক নতুন কিছু না ,আফগানিস্তানে তালিবান দখলের বহু পূর্বে থেকে যে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত ছিল সেখানে 2011 থেকে 2020- 21 পর্যন্ত ভারত প্রায় 3 বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োগ করেছে আফগানিস্তানের আভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো তৈরির জন্য। বিশেষত উল্লেখ্য সালমা বাঁধ প্রকল্প, আরঞ্জ হাইওয়ে, পার্লামেন্ট বিল্ডিং নির্মাণ ও স্বাস্থ্য মিশনের কথা বলা যায়।এ এছাড়াও সরকারি হিসাব অনুযায়ী 2011 সলে স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপের ফল হিসেবে ভারত প্রায় ৬৫ হাজার আফগান ছাত্রকে স্কলারশিপ দিয়ে ভারতে নানা প্রকার কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতা পুনর দখলের সময় ভারতের থেকে পাকিস্তানের সাথে তার সম্পর্ক বেশি দৃঢ় থাকে। কারণ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আফগানিস্তানের এই তালিবান ক্ষমতার পুনরদখলকে সমর্থন করেছিল প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ভারত বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে দূরত্ব রেখে “wait and see” নীতি বজায় রেখে চলে। এই সুযোগকে কাজে লাগায় পাকিস্তান, চীন, ইরানের মতন শক্তিরা যারা আফগানিস্তানকে সহায়তা করে ভারতকে কূটনীতিগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার তে চাপে রাখতে চাইছিল । ২০২২ সালের পরবর্তী কালে ভারত নতুন করে আফগান সম্পর্কে কূটনীতিগতভাবে চিন্তা শুরু করে, যদিও ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়নি তা সত্ত্বেও কিছু নিয়ম নীতি রেখে নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাস খোলার অনুমতি দেয় এবং ‘Engage but do not Endrose’ নীতি অবলম্বন করে কূটনীতিগতভাবে কোথায় সফলতা পাওয়া যায় সেই নিয়ে বিভিন্ন স্তরে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা চালাতে শুরু করে। যার মূল তিনটি ভিত্তি ছিল ১, মানবাধিকার বিষয় ২, নির্দিষ্ট কূটনৈতিক পুনঃ সম্পর্ক স্থাপন, ৩, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা। ২০২২ সালের পরবর্তী কাল থেকে ভারত কূটনীতিগতভাবে দূরত্ব বজায় রাখলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে আফগানিস্তানের নারী বিদ্বেষ , প্রযুক্তিবিরোধিতা ও উন্নয়ন বিমুখীতা এবং সন্ত্রাসবাদীদের কতটা মুক্তাঞ্চল হতে পারে এই বিষয়গুলিকে সামনে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সাল থেকে এই পরিস্থিতির পট পরিবর্তন হতে থাকে। সীমান্ত বিশেষত পাকিস্তানের খাইবার পাকতুন পাক বিরোধী গোষ্ঠীকে যখন আফগানিস্তান সহায়তা করা শুরু করে পাকিস্তান আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কারণে চূড়ান্তভাবে আফগানিস্তান বিরোধী হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিকে ধীরে ধীরে কাজে লাগাতে শুরু করে নয়া দিল্লি। তালিবান প্রশাসন কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। ভারত চাবাহার পোর্ট কে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে বাইপাস করে দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তানের মাধ্যমে একটি নতুন ব্যবসায়িক পথের সূচনা চেষ্টা করে, International north south Trasport corridor (INSTC) তৈরি করা ছিল ভারতের কূটনৈতিক প্রধান লক্ষ্য।
ভারতীয় রাজনীতিতে বিশেষত ভারতের বিদেশ নীতির এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তালিবান প্রশাসনের এই ভারত সফর এতটাই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার স্টামারের দিল্লি সফরও সেখানে ফিকে হয়ে গেছে, তবে একটা বিষয় এখানে মনে রাখতে হবে ভারতের আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন কিন্তু শুধু পাকিস্তান মাথাব্যথার কারণ নয় এখানে পাকিস্তানকে চাপে রাখার বিষয়ের পাশাপাশিও এটাও দেখতে হবে যে পাকিস্তান- সৌদি আরব চুক্তি যেখানে উভয় দেশ এমন চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে, যে কোন একটি দেশ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে উভয় দেশ নিজেদের আক্রমণ হয়েছে বলে মনে করবে! যা ভারতীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটি বড় বিপদ।
এছাড়াও ভারত প্রকাশ্যে মার্কিন নীতির সমালোচনা করে রাশিয়া কে সমর্থন করেছে। ভারত এখন মার্কিন ট্রাম্প বন্ধুত্বের থেকে রাশিয়া পুতিন বন্ধুত্বকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, এমনকি ট্রাম্পের চোখ রাঙানিকেও উপেক্ষা করছে। তাই আফগানিস্তানের সাথে সু কুটনৈতিক সম্পর্ক এক্ষেত্রে মোদী প্রশাসনের একটা গুরুত্বপূর্ণ চাল বলা যেতে পারে। যেখানে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে বলে আশা করা যায়।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফরের সময় ১০ অক্টোবর মাঝরাতে পাক বিমান বাহিনী কাবুলে বোমাবর্ষণ করে, এই বোমাবর্ষণে পাকিস্তান বিরোধী টি টি পি নেতা নূর ওয়ালী মাসুদের মৃত্যু হয়েছে বলে পাক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। যদিও কাবুল সরকার তা অস্বীকার করেছেন। রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের এই বোমাবর্ষণ ভারত ও তালিবান সরকারকে হুঁশিয়ারির বার্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কিন্তু তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, এর ফল পাকিস্তান কে ভুগতে হবে, তবে এই সময়ে এই আক্রমণ ভারত আফগান সম্পর্ক কে আরো ঘনিষ্ঠ ও গভীর করে তুলবে। অর্থাৎ ইমরানের মত শাহবাজ শরীফের এই চাল বুমেরাং হয়ে গেল। একই সঙ্গে একই দিনে ভারত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল কারণ কাবুলে ভারত পুনরায় দূতাবাস খুলবে বলে ঘোষণা করেছেন।
Advertisement



