ইলেক্টোরাল বন্ড: দুর্নীতির বৈধ হাতিয়ার

Written by SNS March 16, 2024 1:36 pm

সুরঞ্জন আচার্য

ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে আবার নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে৷ সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়৷ নামধাম গোপন রেখে রাজনৈতিক দলকে টাকা যোগানোর পদ্ধতি হল এই ইলেক্টোরাল বন্ড৷ ২০১৭-১৮ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়৷ আর প্রথম বন্ড কেনা শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ মার্চ৷ রাজনৈতিক দলের হাতে বন্ড অর্পণ করার কাজও সেদিনই শুরু হবার কথা৷ অবশেষে একটি জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে এই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায় জারি করে, পুরো বিষয়টিই অসাংবিধানিক৷ সেদিন থেকেই ইলেক্টোরাল বন্ড নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷ ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রির একচেটিয়া ক্ষমতা ছিল স্টেট ব্যাঙ্কের৷ সুপ্রিম কোর্ট স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয় বন্ড কেনা এবং রাজনৈতিক দলকে উপহার দেওয়ার পুরো তালিকা ইলেকশন কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে৷ স্টেট ব্যাঙ্ক জটিলতার অজুহাতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল, যা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয়৷ ফলে স্টেট ব্যাঙ্ক বাধ্য হয় তথ্য তুলে দিতে এবং ইলেকশন কমিশন সেই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলে দিয়েছে৷

ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে দুটি তালিকা দেওয়া হয়েছে৷ দুটিই পিডিএফ এবং ১ মার্চ, ২০২৮-র পরিবর্তে ১২ এপ্রিল, ২০১৯ থেকে৷ আপাতত সেটি মেনেই এগিয়ে যাক৷ প্রথমটিতে আছে বিভিন্ন তারিখে কোন কোন বাণিজ্যিক সংস্থা কত টাকার বন্ড কিনেছে৷ এই তালিকায় আছে ১৩২৭টি সংস্থার নাম, যারা মোট ১২১,৫৫.৫১ কোটি টাকার বন্ড কিনেছে৷ দ্বিতীয় তালিকায় আছে বিভিন্ন তারিখে রাজনৈতিক দলগুলো কত টাকার বন্ড পেয়েছে৷ দেখা যাচ্ছে মোট ২৭টি রাজনৈতিক দল ২০,৪২১ ক্ষেপে সর্বমোট ১২,৭৬৯.০৮ কোটি টাকার বন্ড পেয়েছে৷ স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে বন্ড কেনার থেকে পার্টিগুলোর টাকা পাবার পরিমাণ ৬১৩.৫৭ কোটি টাকা বেশি৷ এটা কীভাবে সম্ভব, বোঝা গেল না৷ স্টেট ব্যাঙ্ক তো কোন দল ভবিষ্যতে বন্ড পাবে, এমন ভিত্তিতে অগ্রিম দেয়নি৷ দেওয়া সম্ভবও নয়৷ কারণ বন্ড যিনি কিনেছেন, তিনি সরাসরি তাঁর পছন্দসই পার্টির অ্যাকাউন্টে জমা করবেন৷ সেখানে স্রেফ হিসাব রাখা ছাড়া স্টেট ব্যাঙ্কের কোনও ভূমিকা ছিল কি? আবার বন্ডের টাকার উপরে সুদেরও গল্প নেই৷ তাহলে এই গোঁজামিলটা এল কীভাবে?

তালিকা অনুযায়ী একদম সূচনার দিনেই পিছিয়ে যাওয়া যাক, অর্থাৎ ১২ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে৷ সেইদিন ১৬৮টি বন্ড বিক্রি হয়েছিল৷ কিনেছিল ১০টি সংস্থা, আর মোট দাম ছিল ১২২.০১ কোটি টাকা৷ আবার সেই দিনেই রাজনৈতিক দলগুলোর ভাঁড়ারে বন্ড জমা পড়েছিল ২৯৫.১৫ কোটি টাকার৷ অর্থাৎ শুরুর দিনেই ১৭৩.১৪ কোটি টাকা হাওয়ায় ভর করে জমা পড়ে গেল৷ প্রথম দিনের প্রাপকদের তালিকায় আছে ৭টি দলের নাম৷ একটু দেখে নেওয়া যাক –

এআইডিএমকে ৬ কোটি
ভারত রাষ্ট্র সমিতি ২২.৫০ কোটি
বিজেপি ২৪৬.৩০ কোটি
কংগ্রেস ১০.১০ কোটি
শিবসেনা ৩.৭০ কোটি
তেলুগু দেশম পার্টি ০.৩০ কোটি
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ৬.২৫ কোটি

বোঝাই যাচ্ছে হিসাবহীন ১৭৩.১৪ কোটি টাকার বন্ডের সিংহভাগটাই গিয়েছিল বিজেপির ঘরে৷ বাকি ৬টা দল মিলে মোট পেয়েছিল ৪৮.৮৫ কোটি টাকা৷ যদি ধরেও নিই সবটাই হিসাববহির্ভূত, তাহলেও বিজেপির ভাগে এমন বেহিসাবি বন্ড পড়ে থাকে ১২৪.২৯ কোটি টাকা৷ না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা শ্লোগানের কি অসাধারণ পরিণতি! অবশ্য যাঁরা সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে ফাইল হারিয়ে যাবার অজুহাত দিতে পারেন, তাঁদের পক্ষে সবই সম্ভব৷

ইলেক্টোরাল বন্ড চালু হওয়ার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের মোদ্দা যুক্তি ছিল, এর ফলে রাজনীতিতে কালো টাকার আগমন বন্ধ হবে৷ ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারের কাছে এই প্রকল্প কতদূর স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পারবে, সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল৷ সরকার সেই আশঙ্কাকে পাত্তা না দিয়ে দু’দিন পরেই বাজেট প্রস্তাবে ইলেক্টোরাল বন্ডকে স্থান দিল৷ কী কারণে এত তাড়াহুড়ো ছিল? পরবর্তী আলোচনাতেই সেই আভাস পাওয়া যাবে৷

রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতি বছরই আয়কর এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আয়ব্যয়ের হিসাব জমা করতে হয়৷ আয়ের ক্ষেত্রে কতগুলো বিষয় চিহ্নিত উৎস থেকে আসে৷ যেমন ব্যাঙ্কের সুদ, সদস্যদের চাঁদা এবং লেভি, সম্পদ ও প্রকাশনার বিক্রি৷ আবার কতগুলো সূত্রে উপার্জনের নির্দিষ্ট উৎস নির্ধারণ করা মুশকিল৷ যেমন কুপন বিক্রি এবং মিছিল/মোর্চা থেকে আয়৷ আবার যে কোনও পার্টিই অনুদান নিতে পারে৷ তবে ২০,০০০ টাকার উপরে কেউ অনুদান দিলে দাতার যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হয়৷ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত সেই তথ্য জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না৷ ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে যে টাকা একটি পার্টি পাবে, তার ক্ষেত্রে কিন্ত্ত বন্ডদাতার তথ্য জানানোর দরকার নেই বলেই আইনে বন্দোবস্ত করা হয়৷ অর্থাৎ ইলেক্টোরাল বন্ড শুরু থেকেই হয়ে দাঁড়াল অজ্ঞাত সূত্রে উপার্জনের মাধ্যম৷

আপাতভাবে মনে হতেই পারে, কোম্পানি বন্ড কিনছে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে৷ আবার কোনও দল যখন সেই বন্ড পাচ্ছে, পুরো টাকাটাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই যাচ্ছে৷ পুরোটাই হচ্ছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে৷ একটা স্বচ্ছতা তো আছেই৷ তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যাটা এই ভাবনার গোড়ায় যে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অবৈধ টাকার আদানপ্রদান সম্ভব নয়৷ সম্ভব, অবশ্যই সম্ভব৷ ইদানিংকালে বেশ কয়েকটি তদন্তের ক্ষেত্রে এমন মানি ট্রেল খুঁজতে খুঁজতে তদন্তকারী সংস্থার নাজেহাল হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদের স্মরণে থাকা উচিত৷ ধরা যাক, ‘ক’ ১০,০০০ টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাঠালেন ‘খ’-কে৷ ‘খ’ সেই টাকা ভাগভাগ করে পাঠাল ২০ জনকে৷ আবার সেই ২০ জনের প্রত্যেকে পাঠাল ৫ জনকে৷ সেই ১০০ জন আবার প্রত্যেকে পাঠাল ১০০ জনকে৷ তাহলে জালে এল কতজন? ১০,০০০৷ সম্ভব এদের প্রত্যেকের তথ্য ঘাঁটা? সঙ্গে এদের অন্যান্য লেনদেনও আছে৷ ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে এত আর্থিক ঘোটালা তাহলে হচ্ছে কী করে?

যারা বন্ড পেল, তাদের তালিকায় বিজেপি যে সবার উপরেই থাকবে, সেটা অনুমান করতে কষ্ট হয় না৷ বিজেপি পেয়েছে ৬০৬০.৫১ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট বিক্রি হওয়া বন্ডের প্রায় ৫০ শতাংশ৷ কিন্ত্ত বন্ডগুলো কারা কিনল? প্রথম ১০টি নাম একবার দেখে নেওয়া যাক৷

ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ ১৩৬৮ কোটি
মেঘা এঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রা লিঃ ৯৬৬ কোটি
কুইক সাপ্লাই চেন প্রাঃ লিঃ ৪১০ কোটি
হলদিয়া এনার্জি লিঃ ৩৭৭ কোটি
বেদান্ত লিঃ ৩৭৫.৬৫ কোটি
এসেল মাইনিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ ২২৪.৫০ কোটি
ওয়েস্টার্ন ইউ পি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোঃ লিঃ ২২০ কোটি
কেভেন্টার ফুড পার্ক ইনফ্রা লিঃ ১৯৫ কোটি
মদনলাল লিঃ ১৮৫.৫ কোটি
ভারতী এয়ারটেল লিঃ ১৮৩ কোটি

সবথেকে বেশি বন্ড কিনেছিল ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ, যা আদ্যন্ত একটা লটারি পরিচালক সংস্থা৷ এই সংস্থাটি ২০২০ সালে বন্ড কিনেছিল ১৫০ কোটি টাকার, ২০২০ সালে ৩৩৪ কোটি, ২০২২ সালে ৫০০ কোটি, ২০২৩ সালে ৩২১ কোটি এবং অবশিষ্ট ৬৩ কোটি টাকা ২০২৪ সালে৷ এই সেই কোম্পানি পি এম এল আইনে ইডি ২০১৫ সালে যার ১০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল৷ অভিযোগ লটারি প্রাপকদের নামের গরমিল করিয়ে এই কোম্পানি সিকিম সরকারের ৯০০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছিল৷ ২০২২ সালেও ফিউচারের ১৯.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়৷ সেই কোম্পানি কেন ১৩৬৮ কোটি টাকার বন্ড কেনে আর কার পায়ে উপহার দেয়, বুঝতে অসুবিধা হয় না৷

তালিকার দ্বিতীয় নাম মেঘা এঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রা লিঃ৷ এই কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আরো তিনটে কোম্পানি প্রচুর টাকার বন্ড কিনেছে৷ ওয়েস্টার্ন ইউ পি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোঃ লিঃ-এর নাম প্রথম দশের তালিকাতেও আছে৷ এছাড়াও আছে এস ই পি সি পাওয়ার (৪০ কোটি) এবং এভরি ট্র্যানস প্রাঃ লি (৬ কোটি)৷ চারটে কোম্পানি মিলে মোট বন্ড কিনেছে ১২০০ কোটি টাকার৷ এই মেঘা এঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রা লিঃ জোজিলা সুরঙ্গ নির্মাণের বরাত পায়৷ আবার তার অধীনস্থ সংস্থা ওলেকট্রা গ্রিনটেক পায় ৩০০০ বাস সরবরাহ করার কন্ট্রাক্ট৷ ২০২২ সালে এই মেঘা কোম্পানিই প্রতিরক্ষা দপ্তরে ৫০০০ কোটি টাকার কন্ট্র্যাক্ট পেয়েছে৷ লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর মত আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত সংস্থাকে টপকে আরো দুটি সুড়ঙ্গের বরাত পায় পরের বছর৷ ইতিমধ্যেই সি এ জি রিপোর্টে বলা হয়েছে চারটি প্রকল্পে এই সংস্থাকে ৫১৮৮.৪৩ কোটি টাকা বাড়তি দেওয়া হয়েছে৷ মোট ১৭টি প্রকল্পকে হিসাবে আনলে এই বাড়তি মূল্য হয়তো ১০,০০০ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে৷

একটি বাণিজ্যিক সংস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে যখন আর্থিক অনুদান দেয়, তার পিছনে বাণিজ্যিক স্বার্থই থাকে৷ অর্থাৎ ভবিষ্যতে বাড়তি বরাত পাবার আকাঙ্খাতেই এমন অনুদান দেওয়া হয়৷ ফিউচারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আর্থিক কেলেংকারির তদন্তের প্রসঙ্গও চলে আসছে৷ মেঘা-র ক্ষেত্রেও তাই৷ তালিকার তৃতীয় নাম অর্থাৎ কুইক সাপ্লাই চেন প্রাঃ লিঃ সরাসরি রিলায়েন্স অর্থাৎ আম্বানি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত৷ ২০২২-২৩ সালে এই কোম্পানি বন্ড কিনেছিল ১২৫ কোটি টাকার, যেখানে তার মোট ব্যবসা ছিল ৫০০ কোটির৷ যদি নিট মুনাফা খুব চড়া হারে ২০ শতাংশও ধরা হয়, তাহলেও কোম্পানির নিট আয় ছিল ১০০ কোটি৷ তার মানে কুইক সাপ্লাই নিজের আয়ের থেকেও বেশি মূল্যের বন্ড কিনেছিল৷ কেন? কোন স্বার্থে? ২০১৪ থেকে ২০২৪, মোদি জমানার এই দশ বছরে যে দুটি কর্পোরেট গোষ্ঠী সবথেকে লাভবান ও স্ফীত হয়েছে, তারা হল আদানি ও আম্বানি গ্রুপ৷ কাজেই এমন কৃতজ্ঞতা প্রকাশে গ্রুপের আপত্তি থাকার কথা নয়৷

বন্ডের লাভ যারা পেয়েছেন সেই পার্টিদের তালিকার প্রথম ১০টি নাম দেখলেই পারস্পরিক সম্পর্কের চেহারাটা বোঝা যাবে৷
বিজেপি ৬০৬০.৫১ কোটি
টি এম সি ১৬০৯.৫৩ কোটি
কংগ্রেস ১৪২১.৮৬ কোটি
বি আর এস ১২১৪.৭০ কোটি
বিজু জনতা দল ৭৭৫.৫০ কোটি
ডি এম কে ৬৩৯.০০ কোটি
ওয়াই এস আর কংগ্রেস ৩৩৭.০০ কোটি
তেলুগু দেশম ২১৮.০০ কোটি
শিবসেনা ১৫৮.৩৮ কোটি

দশ বছর ধরে দিল্লির ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যে লাভের গুড় সবথেকে বেশি খাবে তাতে সন্দেহ নেই৷ শুরুতেই দেখেছি বন্ড চালু হওয়ার দিনেই বিজেপি অন্তত ১২৪.২৯ কোটি বন্ড-বহির্ভুত টাকা বন্ডের নামে পেয়েছিল৷ যে যেখানে ক্ষমতায় আছে, সাধ্যমত লড়ে যাওয়ার চেষ্টা প্রায় সকলেই করেছে৷ তবে একগুচ্ছ রাজ্যে সরকার চালিয়েও কংগ্রেস যে তৃতীয় স্থানে নেমে গেল কীভাবে, সেটাই অবাক করার৷ একটি মাত্র রাজ্যে সরকার চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে এবং বিআরএস চতুর্থ৷ এই দুটি মাত্র আঞ্চলিক দলই ১০০০ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করেছে৷ এর মধ্যে সিএজি রিপোর্টের ভিত্তিতে বিআরএসের বিরুদ্ধে মেঘা এঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রা লিঃ-কে বাড়তি অর্থ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস৷ অভিযোগ সত্যি হোক আর মিথ্যে, ঘটনা তো সত্যি, অন্তত সি এ জি রিপোর্টের ভিত্তিতে৷ আর এটাই আবার চোখে আঙুল তুলে প্রমাণ করে দেয়, ইলেক্টোরাল বন্ড আদতে আইনি পদ্ধতিতে দুর্নীতি বজায় রাখারই একটা হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে এসেছে৷