• facebook
  • twitter
Friday, 13 June, 2025

বাঙালির ভাষা

দিশি সিঁদুরের নাম হয় ‘মেটে সিঁদুর’ ও আমদানি সিঁদুরের নাম হয় ‘চীনে সিঁদুর’। লালমাটি পালোয়ান ও যোদ্ধারা গায়ে মাখত, বীরত্বের ব্যঞ্জনা হিসাবে।

ফাইল চিত্র

পূর্ব প্রকাশিতর পর

কাজল চোখে দেওয়া হত, আর টিপ ও তিলকও পরত। চন্দন ছিল দুর্লভ সামগ্রী। খুব ধনী না হলে ব্যবহার করতে পারত না। চন্দনের ফোঁটা, তিলক ইত্যাদি দেওয়া হত। গ্রীষ্মকালে হাতে গায়ে মাখা হত। চন্দনেরও তেল হত। তবে তা ছিলআরও দুর্লভ। এদেশে চন্দন গাছ দৈবাৎ হত। দক্ষিণ ভারত থেকে আমদানি করতে হত। এদেশে হত রক্তচন্দন। কোনো কোনো প্রাচীন নিম গাছের কান্ড থেকে রক্তচন্দন মিলত। আলতা এসেছে সংস্কৃত অলক্ত (অলক্তক) থেকে। মেয়েরা এখন যেমন তখনও তেমনি পায়ে পরত, ঠোঁটে লাগাত। কপালে সিঁদুরের টিপ অথবা সিঁথি বরাবর সিঁদুরের রেখা বিবাহিত নারীর সৌন্দর্যবর্ধক সৌভাগ্যচিহ্ন বলে পরিগণিত হয়ে আসছে কয়েক শত বছর ধরে। সিঁদুর শব্দ এসেছে অর্বাচীন সংস্কৃত ‘সিন্দুর’ থেকে।

দেশের অনেক স্থানেই লালমাটি তখন মিলত, এখনও মেলে। সেই মাটি থেকে বা অন্য উপায়ে সিঁদুর হত। পরে চীন দেশ থেকে ও বিলেত থেকে ভালো সিঁদুর আমদানি হতে থাকে। তখন দিশি সিঁদুরের নাম হয় ‘মেটে সিঁদুর’ ও আমদানি সিঁদুরের নাম হয় ‘চীনে সিঁদুর’। লালমাটি পালোয়ান ও যোদ্ধারা গায়ে মাখত, বীরত্বের ব্যঞ্জনা হিসাবে।

(সমাপ্ত)