শ্রী সুকুমার সেন
পূর্ব প্রকাশিতর পর
Advertisement
ইন্দো-ইরানীয়: ক. ইরানীয় (আবেস্তা ও প্রাচীন পারসিক)
খ. ভারতীয় আর্য (প্রাচীন ভারতীয় আর্য অর্থাৎ বৈদিক এবং ধ্রুপদী সংস্কৃত; মধ্য ভারতীয় অর্থাৎ পালি, বিবিধ প্রাকৃত এবং অপভ্রংশ এবং নব্য ভারতীয় আর্য অর্থাৎ বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া মৈথিলী, মগহী, ভোজপুরী, অবধী, বঘেলী, ছত্তিশগড়ী, কনৌজ, বুন্দেলখন্ডী, দখনী, মারাঠী, রাজস্থানী, মারোওয়ারী, গুজরাতী, পূর্বী পাঞ্জাবী, পশ্চিমা পাঞ্জাবী, কাশ্মীরী, নেপালী, গাড়োওয়ালী প্রভৃতি)
৩ গ্রীক
৪ ইতালীয়
৫ কেল্টীয়: আইরিশ, ব্রেটন, ওয়েলস
৬ আর্মেনীয়
৭ আলবেনীয়
৮ বাল্টোস্লাভীয়: ক. বাল্টীয়: লেটিক এবং লিথুয়ানীয়; খ. স্লাভীয়, রাশিয়ান, বুলগেরিয়ান, পোলিশ
৯. তোখারীয়: তোখারীয় ’ক’ এবং তোখারীয় ’খ’
১০ জার্মানীয়: ক. পূর্ব জার্মানীয়: গথিক; খ. উত্তর জার্মানীয়: সুইডিস, ড্যানিশ, নরওয়েজিয়ান; গ. পশ্চিম জার্মানীয়: ইংরেজী, জার্মান, ডাচ।
ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর আর্য শাখা বেশ কয়েকটি দলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। যদিও সেগুলি মূলত একই ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত তবুও তাদের মধে বিভিন্ন উপভাষা ছিল। এবং বিভিন্ন সময়ে আসার জন্য সেগুলির মধ্যে কালানুক্রমিক ব্যবধানও ছিল। এই নবাগত সুসংবদ্ধ ভাষাগোষ্ঠীর থেকেই বর্তমানের উত্তর ভারতের বিভিন্ন ভাষার উদ্ভব হয়। তবে এর মধ্যে একটি লক্ষ্য করার বিষয় হল যখন পরবর্তী বৈদিক সাহিত্য (যেমন অথর্ববেদ এবং বিভিন্ন ব্রাহ্মণ) সংকলিত হচ্ছিল তখনই আরেকটি উপভাষা কালক্রমে ভারতবর্ষের মাটিতে সাহিত্যিক শিষ্ট ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল, তাকে বলতে পারি ’ধ্রুপদী সংস্কৃত’ (Classical Sanskrit)। যদিও বৈদিক এবং ধ্রুপদী সংস্কৃতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় এবং এই দুই ভাষাই প্রাচীন ভারতীয় আর্য শাখার অন্তর্ভুক্ত তবুও এদের মধ্যে কালানুক্রমিক এবং ঔপভাষিক বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। রূপতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত অল্প কয়েকটি সমার্থক রূপ ও পদবিন্যাসবিধি ধ্রুপদী সংস্কৃতে গ্রাহ্য করা হয়েছে, এতৎসত্ত্বেও কোনও ঔপভাষিক বিভিন্নতা স্বীকার করা হয়নি।
Advertisement
(ক্রমশ)
Advertisement



