• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

ভূগর্ভস্থের জল শোধন প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে কাজ শুরু

জেলা জুড়ে গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর কাজের তদারকি চলছে

প্রতীকী চিত্র

কৃষি প্রধান পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভূগর্ভস্থ জলের ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আর ওই কাজ যাতে দ্রুত গতিতে হয় তার জন্য পঞ্চায়েত স্তরে নির্দেশিকা জারি করা হলো। এই পরিকল্পনার নাম ‘জল শোধন প্রকল্প।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও পরিবেশ দপ্তরের উদ্যোগে এই প্রকল্পে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, এই প্রকল্পে একদিকে জলের ঘাটতি যেম পূরণ হবে অন্যদিকে জলবাহিত রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব হবে। এমনকি মশার উপদ্রব অনেকটাই কমে যাবে।

রাজ্যের শস্যগোলা বলা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলাকে। এই জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়। আর তার জন্য চাষের কাজে সেচ ব্যাবস্থার জন্য মাটির নিচের ভূগর্ভস্থ জল তোলা হয় যথেচ্ছ ভাবে। ফলে ব্যাপক ঘটতি দেখা দিয়েছে জেলার বেশিরভাগ ব্লকে। এর জন্য পানীয় জলেরও ঘাটতি দেখা দেয়।এই অবস্থায় জেলার প্রায় ৬০ শতাংশ ব্লকে মাটির নিচে থেকে জল তোলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ‘রেডজোন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবার মাটির তলায় ভূগর্ভস্থ জলের ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে বরাদ্দ হয় ১১৩ কোটি টাকা। ফেলে দেওয়া বাড়তি জল কাজে লাগিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, প্রকল্পের নাম ‘গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’। কাজ শেষ হলে মাটির নিচে জলের ঘাটতি পূরণ ছাড়াও জল থেকে জীবাণুু ঘটিত বিভিন্ন রোগের প্রভাব কমানো সম্ভব হবে।

তিনি জানান, এই প্রকল্পে নিত্যদিনের কাপড় কাচা, বাসন মাজা, স্নানের জলকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। সৌকপিঠের চেম্বার তৈরি করে সেই জল সেখানে জমবে। সেখানে দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জল দূষণ মুক্ত হবে। একটি পদ্ধতিতে ধূসর জল সাদা জলে পরিনত হবে। সেই জল চেম্বার থেকে ওভারলোড হয়ে ড্রেনের মাধ্যমে মিশে যাবে প্রকৃতিতে। অভাব ও ঘাটতি পূরণ করবে ভূগর্ভস্থ জলের। বিশেষজ্ঞদের দাবি এই প্রকল্পে নোংরা অস্বাস্থ্যকর জমা জলের পরিমাণ কমতে থাকবে,আর তার ফলে মশা সহ অন্যান্য রোগজীবাণু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ জমা জলেই মশার উপদ্রব বেশি হয়।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার বলেন, জেলা জুড়ে গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর কাজের তদারকি চলছে। পঞ্চায়েতগুলোকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়। এদিকে খন্ডঘোষ সহ কয়েকটি ব্লকে কাজের গতি কিছুটা কম বলে জানা গেছে। এর জন্য সেখানকার জেলা পরিষদের সদস্য তথা অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম বলেন, যেখানে যেখানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে খোঁজ খবর নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। যাতে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হয়।