কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ। বাম–কংগ্রেস জোট ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ। পুলিশ কর্মীদের গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন ব্যাঙ্কে ভোট হয়নি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রবিবার নির্বাচন হয়। এই সমবায় সমিতিতে মোট ৪৩টি আসন আছে। গত নির্বাচনে সবকটি আসনে জয়লাভ করেছিল সিপিএম। এই বছর কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ৪৩টি আসনের মধ্যে সিপিএম ২১টি আসনে এবং কংগ্রেস ২২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে ৪২ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সিপিএম–কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে জিততে পুলিশের সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা তাঁদের সমর্থকদের উপর আক্রমণ করেছে। একাধিক বুথ দখলের চেষ্টাও করছিলেন শাসকদলের সমর্থকরা। এর জেরে তৃণমূল ও জোট সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। মাটিতে ফেলে দুই পক্ষের কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছিলেন। সেটাই মানতে পারেনি বিরোধীরা। উত্তেজনা তৈরি করতেই বিরোধীরা পরিকল্পনা করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। তাঁদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এর জেরে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় আরও পুলিশ ও র্যাফ নামানো হয়। শুরু হয় লাঠিচার্জ। বেশ কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের ঘটনার পর ভোটকেন্দ্রের সামনে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছিল না। তবে সংঘর্ষের প্রভাব ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় পড়েনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।