• facebook
  • twitter
Wednesday, 9 July, 2025

মালদহে ভাইপোকে খুনে ধৃত স্কুল শিক্ষক কাকা

১৮ মে থেকে খোঁজ মিলছিল না মৃত যুবক সাদ্দাম নাদাবের। তাঁর বাড়ি মালদহের পুখুরিয়া থানার কোকলামারি নাদাপ পাড়া এলাকায়।

কেবল অপহরণ করে খুন করা নয়, খুনের পর ভাইপোর দেহের নৃশংস পরিণতি করেছিলেন কাকিমা। প্রায় ১৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর মালদহের পুখুরিয়ার যুবক সাদ্দাম নাদাবের দেহ কাকিমার বাপের বাড়ির এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে কাকিমার বিরুদ্ধে। দেহ লোপাট করতে যুবকের মৃতদেহটি গেঁথে দিয়েছিলেন তিনি। কাকিমাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাকিমার স্বামীকেও। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। জানা গিয়েছে, তিনিও তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় শামিল ছিলেন।

সূত্রের খবর, ১৮ মে থেকে খোঁজ মিলছিল না মৃত যুবক সাদ্দাম নাদাবের। তাঁর বাড়ি মালদহের পুখুরিয়া থানার কোকলামারি নাদাপ পাড়া এলাকায়। তিনি ঠিকাদারের কাজ করতেন এবং কাজের সূত্রেই তিনি ইংরেজবাজারের বাপুজি কলোনির বাসিন্দা কাকিমা মৌমিতা হাসানের বাড়ির একতলা অফিস ঘর ভাড়া হিসেবে নিয়ে থাকতেন। গত ১৮ মে মালদহ থেকে আচমকাই তিনি উধাও হয়ে যান। সাদ্দামের স্ত্রী নাসরিন খাতুনের সাদ্দামের কাকিমার উপর সন্দেহ হয়েছিল। তিনি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন কাকিমার নাম করে। এই সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কাকিমাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি খুনের বিষয়টি স্বীকার করে নেন।

তিনি জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকায় মৌমিতার বাপের বাড়ি। সেখানেই তাঁদের নির্মীয়মান একটি বাড়িতে দেহটি গেঁথে দিয়েছিলেন। এরপরই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় কাকিমার স্বামী ওই স্কুল শিক্ষককে। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন এই খুনের ঘটনায় তিনিও শামিল ছিলেন। পরকীয়া এবং টাকাপয়সার সমস্যার কারণে তাঁকে খুন করা হয়। স্বামী-স্ত্রী আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। এরপর সাদ্দাম নাদাবকে ফোন করে সেখানে ডেকে খুন করা হয়। সাদ্দামের দেহ থেকে ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন মিলেছে। এই ঘটনায় আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।