• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

স্কুলে অন্তরঙ্গ, শিক্ষক-শিক্ষিকাকে তলব বিদ্যালয় সংসদ দপ্তরে

সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের কালনার সাতগাছি জিএসএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক সহ-শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে জেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয় শিক্ষা মহলে।

স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ হবার ঘটনায় এবার তাঁদের ডেকে পাঠানো হলো সংসদ দপ্তরে। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের কালনার সাতগাছি জিএসএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক সহ-শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে জেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয় শিক্ষা মহলে। ঘটনার প্রতিবাদে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজবংশী পাড়ার বাসিন্দারা। এছাড়াও অভিভাবকরা গণস্বাক্ষর করা অভিযোগ জমা করেন পঞ্চায়েত প্রধান হরেকৃষ্ণ মন্ডলের কাছে। একই অভিযোগ জমা হয় বিডিও এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তরে। আর তারপরেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হলো। ডেকে পাঠালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান।

আগামী ৩ মার্চ বিকেল ৩ টের সময় তাঁদের বর্ধমানে কাউন্সিলের অফিসে ডাকা হয়েছে। ওইদিন এসআই-কেও হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, বিদ্যালয়ের মধ্যে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়ারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখেই শেখে। তাঁরাই মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনও বিতর্কে জড়ানো উচিত নয়। কিছু একটা না ঘটলে গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করবেন কেন!

Advertisement

এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা স্বায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, রাজ্য সরকার শিক্ষার অগ্রগতির জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা অশ্লীল আচরণ করে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করবেন, সেটা শোভা পায় না। গ্রামবাসীরা ওই স্কুলের এক শিক্ষক এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অশ্লীল অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কালনা মহকুমার এক শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণ এলাকায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তাঁরা প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। শুধু এখানেই থেমে থাকা নয়, তাঁরা আরও গভীরে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

তবে যাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষক পুলক মণ্ডল বলেন, আমাকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমাকে নাকি হাতেনাতে ধরা হয়েছিল। অথচ ওইদিন আমি স্কুলেই ছিলাম না। এসআই অফিসে হাজির ছিলাম। তিনি আরও বলেন, আমি ওই স্কুল থেকে বদলি নিতে চেয়েছি। মাঝপথে বদলি নিতে চাওয়ার কারণেই হয়তো আমাকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। ওই গ্রামের সকলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। কয়েকজন প্রাচীর টপকে স্নান করতে আসতো। এসবের প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই হয়তো এধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement