• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিয়ে রুখে অদম্য জেদেই শীর্ষে সেলিমা

বাল্যবিবাহের খবর পেলেই প্রশাসনের লোকজন নিয়ে সেখানে হাজির হন। বিয়ে আটকে নতুন জীবনের পথ দেখান মহিলাদের।

ফাইল চিত্র

অদম্য জেদ ও পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও ডিএলএড করে স্কুলের অতিথি শিক্ষিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সেলিমা। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম যশপুরের বাসিন্দা সেলিমা খাতুন। মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই পরিবার থেকে বিয়ের চাপ দেওয়া হয় তাঁকে। সেসব অস্বীকার করে পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। শুধু নিজে নয়, সঙ্গে আরও অনেক মেয়েকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে বাঁচান সেলিমা। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারও পান তিনি। বর্তমানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে যুক্ত সেলিমা।

বাল্যবিবাহের খবর পেলেই প্রশাসনের লোকজন নিয়ে সেখানে হাজির হন। বিয়ে আটকে নতুন জীবনের পথ দেখান মহিলাদের। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর গ্রামের মেয়ে সেলিমা খাতুন। বাবা সাহিদুল শেখ ও চার ভাইবোন নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার তাঁদের। পরিবারের সম্বল পাঁচ বিঘা জমি। সেই জমির আয় থেকেই চলত তাঁদের সংসার। আর্থিক অনটনে পড়ে পড়াশোনা ছেড়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় সেলিমাকে। সে কথায় কান না দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন তিনি। কিন্তু ফের বাড়ি থেকে তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। সেই চাপের মুখে নতিস্বীকার না করে এগিয়ে গিয়েছেন সেলিমা। তাঁকে সহায়তা করেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এরপরে স্নাতক পাশের পর ডিএলএড করে মিনাপুরে নিজের স্কুলেই অতিথি শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত হন সেলিমা খাতুন। মিনাপুর বিদ্যালয়ের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যও তিনি।

Advertisement

Advertisement

Advertisement