• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে শৌচাগারের খোঁজে নাজেহাল রোগীর পরিজনেরা

বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তৈরি বিশ্রামগৃহ এবং শৌচাগার ছাড়াও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পাশে খড়গপুর পুরসভার উদ্যোগে একটি পে এন্ড ইউজ শৌচাগার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের আমলে তৈরি হয়।

ফাইল চিত্র

খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে শৌচাগার না থাকায় নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগীর সঙ্গে থাকা পরিজনদের।

জ্ঞান সিং সোহন পাল খড়গপুর সদরের বিধায়ক থাকাকালীন তার এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় খড়ডপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ইমার্জেন্সির ঠিক উল্টোদিকে রোগীর সঙ্গে আসা পরিজনদের রাতে থাকার জন্য একটি বিশ্রাম ঘর তৈরি করেছিলেন । সেই সঙ্গে ব্যবস্থা করা হয়েছিল একটি পে এন্ড ইউজ টয়লেটেরও। এই ভবন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রিটায়ার্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের হাতে । কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই বিশ্রামঘর এবং শৌচাগার ভঙ্গুর হয়ে পড়ে । খড়গপুর শহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান রবিশংকর পান্ডের উদ্যোগে সম্প্রতি এই বিশ্রামগৃহ এবং শৌচাগার পুননির্মাণের কাজ শুরু করেছে খড়গপুর পুরসভা। কিন্তু কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে রোগীর সঙ্গে থাকা পরিজনদের।

Advertisement

রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার অত্যন্ত ধীর গতিতে কাজ করছেন বলে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। আমি বিষয়টি পুরপ্রধান, পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিককেও জানিয়েছি। ঠিকাদারকে ডেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথাও বলেছি। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ অবশ্য কাজে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন, একটি রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল, ফলে ইমারতী দ্রব্য নিয়ে যাওয়া যায়নি। তাই কাজ একটু ধীর গতিতে হয়েছে।

Advertisement

বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় তৈরি বিশ্রামগৃহ এবং শৌচাগার ছাড়াও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পাশে খড়গপুর পুরসভার উদ্যোগে একটি পে এন্ড ইউজ শৌচাগার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের আমলে তৈরি হয়। উদ্বোধনের পর কিছুদিন চালু অবস্থাতেও ছিল কিন্তু তারপর এই শৌচাগারে পুরসভার জলের সংযোগকারী পাইপ লাইনে সমস্যা তৈরি হওয়াযয় শৌচাগার বন্ধ করে দিতে হয় । ফলে এই জায়গাটিও রোগীর পরিজনেরা ব্যবহার করতে পারেন না। রোগীর সঙ্গে থাকা পুরুষ বা মহিলা পরিজনদের প্রকাশ্যেই শৌচকর্ম সারতে হয়। এর ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরপ্রধান কল্যানী ঘোষ বলেন, জলের পাইপ লাইনের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। শৌচাগার ব্যবহারযোগ্য করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন হেমা চৌবে বলেন, এই বিষয়গুলি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে । রোগীর পরিজনদের কথা ভেবে পুরসভাকে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement