মহিলা কামরার সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার গোচরণ স্টেশনে অবরোধ। শনিবার সকাল ৭টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। সাতসকালে অবরোধের জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ অবরোধ উঠে যায় বলে খবর। এরপর ধীরে স্বাভাবিক হয় এই শাখায় ট্রেন চলাচল। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয় রেল।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ ডিভিশনের বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার তিনটি স্টেশনে রেল অবরোধ হয়। মথুরাপুর রোড স্টেশনে সকাল ৬টা ৮মিনিট থেকে ৭টা ১১ মিনিট পর্যন্ত, গোচরণ স্টেশনে সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এবং জয়নগর-মজিলপুর স্টেশনে সকাল ৭টা ১৬ মিনিট থেকে ৮টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত অবরোধ চলে। মহিলা কামরা বাড়ানোর দাবি এই অবরোধ করা হয়।
রেলের বক্তব্য, মহিলা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য-সুবিধার কথা রেল সবসময়ই ভেবে থাকে। সেই কারণেই সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনের সমস্ত ইএমইউ ট্রেনে লেডিস কোচের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। প্রেস বিবৃতিতে রেল জানিয়েছে, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে গোচরণ স্টেশনে রেল অবরোধ উঠে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। অবরোধের জেরে লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় মোট চার জোড়া ইএমইউ ট্রেন বাতিল করা হয়।
এক অফিস যাত্রী বলেন, ‘এভাবে চললে অফিস সময়ে পৌঁছনো সম্ভব নয়। রেল মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন। আমরা যাঁরা জেলা থেকে শহরে আসি কাজ করতে, তাঁদের এসব কারণে ভুগতে হয় পথে বেরিয়ে।’ এর আগে লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় একাধিক স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ফের শনিবার রেল অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রীরা।