কুলটি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষের সাধারণ অসুখের চিকিৎসার জন্য আর দূরে দৌড়তে হবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দরজায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে নিয়ামতপুরে নতুন করে একটি আধুনিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছে রাজ্যের শ্রম দপ্তর। শুক্রবার এর উদ্বোধন করেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। দপ্তরের দাবি, আগামী বছরের গোড়ায় কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে পরিষেবা দিতে শুরু করবে। এতে উপকৃত হবেন অন্তত তিরিশ হাজার মানুষ।
শ্রম দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে, সেখানে আগে রাজ্যের বয়লার দপ্তরের অফিস ছিল। কিছুদিন আগে সেই অফিস স্থানান্তরিত হয় আসানসোলে। তার পর পুরনো ভবনটিকে সম্পূর্ণ সংস্কার করে সাজানো হয়েছে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে। তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের চেম্বার, রোগ নির্ণয়ের কক্ষ, ওষুধ বিতরণের আলাদা কাউন্টার, রোগীদের বসার জায়গা— সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রিক পরিকাঠামো প্রস্তুত।
Advertisement
এখানে দু’জন চিকিৎসক নিয়মিত রোগী দেখবেন। থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীও। আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র জানিয়েছেন, তাঁদের তত্ত্বাবধানে চলবে গোটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। সাধারণ অসুখের ক্ষেত্রে এখানেই রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তবে গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে রোগীদের আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হবে।
Advertisement
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রধান উদ্দেশ্য— কুলটি, সালানপুর, বরাকর, দিসেরগড়-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বহু শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের চিকিৎসার চাপ কমানো এবং চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। শ্রম দপ্তরের দাবি, কেন্দ্রটি চালু হলে এলাকার বহু মানুষের চিকিৎসা নির্ভরতা কমবে, সময় ও খরচ বাঁচবে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পরিষেবায় নতুন গতি আসবে।
Advertisement



