তিন সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত আহিরণ মাঠপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মৃতার নাম রেশমি বিবি (২৮)। ১১ বছর আগে আহিরণ মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা মসিবুল শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মসিবুল পেশায় দিনমজুর। তিনি ওড়িশায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। বেশিরভাগ সময়ই ভিন রাজ্যে থাকেন তিনি। রেশমি ও মসিবুলের ৯ বছর, ৫ বছর ও ১ মাসের তিন সন্তান রয়েছে। নিত্যদিন স্বামী–স্ত্রীয়ের মধ্যে ফোনে ঝামেলা হত। এই ঝামেলার জন্য গত ইদে মসিবুল গ্রামের বাড়িতে ফেরেননি। রবিবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ বাড়িতে ফিরে আসেন মসিবুল। এরপর দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ফোনটি সঠিক সময়ে ধরতে পারেননি রেশমি। সেই কারণে স্বামী–স্ত্রীয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বাড়িতে ঢুকেই স্ত্রীকে মারতে শুরু করেন মসিবুল। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের তিন সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মায়ের উপর অত্যাচার হতে দেখে চিৎকার শুরু করেছিলেন সন্তানরা। কিন্তু মসিবুল তাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সুতি থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দীর্ঘ সময় ধরে হেরোইনের নেশায় আসক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নাকাচেকিং চলছে। ফোনের লোকেশন ট্রেস করে তাঁকে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।
মৃতার দিদি নুরবানু বিবি জানিয়েছেন, সোমবার সকালে বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে যান তাঁরা। এরপর সেখান থেকে রেশমির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মসিবুল সংসার চালানোর জন্য টাকা পাঠাত না। তাঁর বোনই বিড়ি বেঁধে তিন সন্তানকে মানুষ করছিল বলে দাবি করেছেন নুরবানু।