ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি কোনা নিজ উদ্যোগে ঢেলে সাজিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ব্যতিক্রম হল না দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার পুরসভার অন্তর্গত অতি পরিচিত একটি পিকনিক স্পট ‘কেল্লার মাঠ’। এবার এই পিকনিক স্পটকে নতুন রূপ দিতে উদ্যোগী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আড়াইশো মিটার বাঁধ ব্লক পিচিং করা হবে। এরপর অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ে, এই কেল্লার মাঠটিতে মাটি ফেলে আরও উঁচু করা হবে।
পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থাও থাকবে। আধুনিক মানের শৌচাগার ও সুন্দর বসার জায়গা নির্মিত হবে মাঠটিতে। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে যেন নদীর পাড়ে বসে হুগলি নদীর প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন, তার সবরকম ব্যবস্থাই করতে উদ্যোগী অভিষেক। উল্লেখ্য, কেল্লার মাঠে যে নদী বাউন্ডারি রয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তার বেশ কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে এবং তলিয়েও গিয়েছে বেশ কিছুটা অংশ। সেই সকল জায়গাগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। সেই আবেদন তথা প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এই কাজের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণবকুমার দাস, ভাইস চেয়ারম্যান রাজশ্রী দাস, ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল আহ্বায়ক শামিম আহমেদ, পুরসভার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন তরফদার। বিধায়ক বলেন, শহরকে ঢেলে সাজানো এবং কেল্লার মাঠকে আরও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যা যা পরিকল্পনা নিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। অভিষেকের মস্তিষ্কপ্রসূত এই সৌন্দর্যায়নের কাজ বিধায়কের নেতৃত্বে এবং পুরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
কলকাতা থেকে কাছে-পিঠে কয়েক ঘণ্টার জন্য হুগলির নদীর তীরবর্তী এই কেল্লার মাঠ পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় স্থান। তবে তার অবস্থা হয়ে পড়েছিল শোচনীয়। বর্তমানে সাংসদ অভিষেকের তৎপরতায় নতুন রূপে সুসজ্জিত কেল্লার মাঠ নিঃসন্দেহে গ্রহণযোগ্য পিকনিক স্পট হিসাবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখবে। সেই সঙ্গে এই কেল্লার মাঠ স্থানীয় অর্থনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট পুরসভা।