বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় তাঁর সংসদীয় এলাকায় ১২টি রাস্তার সংস্কার নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন। বৃহস্পতিবার জেলার সার্কিট হাউসের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ বাস্তুকাররা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ১২টি রাস্তা সংস্কার ও তৈরির ক্ষেত্রে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। এক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু কাজ শুরুর পালা।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের সংসদীয় এলাকায় প্রায় ৯৪.২২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হবে। এরমধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ রাস্তা রয়েছে দুবরাজপুর ব্লকে। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ কিলোমিটার। এই ব্লকের আরও একটি রাস্তাও এই তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও সিউড়ি-১ ও ২ ব্লকের দু’টি রাস্তা, সাঁইথিয়ার একটি, রামপুরহাট-২ ব্লকের প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা, মুরারই-১ ও ২ ব্লকের পৃথক দু’টি রাস্তা, নলহাটি-১ ও ২ ব্লকের দু’টি রাস্তা, খয়রাশোলের সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা সেই তালিকায় রয়েছে। অন্যদিকে, করিধ্যা থেকে পাঁচকাঠ যাওয়ার রাস্তার অবস্থাও খুবই বেহাল। প্রায়শই দুর্ঘটনা লেগে থাকে। সম্প্রতি এই রাস্তায় বাস দুর্ঘটনায় এক যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদিন সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিন বৈঠক শেষে শতাব্দী বলেন, আমার সংসদীয় এলাকায় ১২টি রাস্তার কাজ শুরু হতে চলেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এছাড়াও আর কোনও রাস্তা সংস্কার ও নতুন করে তৈরির প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতাধীন একাধিক রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করতে চলেছে বীরভূম জেলা পরিষদ। সংস্কারের পাশাপাশি বেশকিছু মাটির রাস্তাতেও নতুন করে পিচ পড়বে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে মোট ২১টি রাস্তার কাজের জন্য অনুমোদন এসেছে। তারমধ্যে ১২টি রাস্তা বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সংসদীয় এলাকার আওতায় রয়েছে। সেই সব রাস্তার কাজ নিয়ে জেলা পরিষদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন।
তবে বীরভূমের সংসদীয় এলাকার পাশাপাশি বোলপুর সংসদীয় এলাকাতেও একাধিক রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণের কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সে সব রাস্তার কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, মোট ২১টি রাস্তার জন্য অনুমোদন মিলেছে। আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা খরচ হবে।