• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

ঐতিহ্য মেনে সোমবার ৭ পৌষ, ২৩ ডিসেম্বর থেকে শান্তিনিকেতের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা বসবে ৬ দিনের জন্য।

শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। ছবি: এএনআই।

সমস্ত সংশয় কাটিয়ে শান্তিনিকেতনে এই বছরে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করার সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়ল সোমবার ২৫ নভেম্বরের বৈঠকে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ট্রাস্টি ডিড অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা করার দায়িত্বে থাকা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে প্রাথমিক বৈঠকে বসে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা করার বিষয়ে সহমত হয়ে, রাজ্য সরকার ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পৌষমেলা করার কথার কথা জানিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বীরভূমের জেলাশাসক এবং বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিগত বছরে রাজ্য সরকার সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে পৌষমেলা করেছিল। বিশ্বভারতী চাইলে, বিগত বছরের মতো এবারও রাজ্য সরকার পৌষমেলা করতে প্রস্তুত আছে। তার আগে কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারি-সহ নানাবিধ কারণে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা না হওয়ায়, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় পূর্বপল্লী মাঠের অনতিদূরেই বীরভূম জেলা পরিষদের ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষমেলা করা হয়।
এবার শান্তিনিকেতন পৌষমেলার চূড়ান্ত রূপ দিতে সোমবার ২৫ নভেম্বর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা সভায় বিশ্বাভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের প্রতিনিধি-সহ অন্যান্য আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনিক আধিকারিক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক (শেখ কাজল), মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন জানান, রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন, বোলপুর পৌরসভা, পুলিশ প্রশাসন-সহ অন্যান্যদের সহযোগিতায় এবার পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত এদিন চূড়ান্ত হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ কাজল জানিয়ে দেন, পৌষমেলা করার বিষয়ে জেলা পরিষদ সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করবে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, রাজ্য সরকারের দিক থেকে পৌষমেলায় সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ঐতিহ্য মেনে সোমবার ৭ পৌষ, ২৩ ডিসেম্বর থেকে শান্তিনিকেতের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা বসবে ৬ দিনের জন্য। আনুষ্ঠানিক ৬ দিনের পৌষমেলা শেষ হয়ে গেলে পরের ২ দিনের মধ্যে পৌষমেলায় যে সব ব্যবসায়ীরা আসবেন, তাঁদের দোকানপাট গুটিয়ে নিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement