• facebook
  • twitter
Friday, 13 June, 2025

খুনের চেষ্টার মামলায় ১২ তৃণমূল নেতার জামিন

প্রায় দেড় মাস জেল খাটার পর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জন তৃণমূল নেতা।

প্রতীকী চিত্র।

প্রায় দেড় মাস জেল খাটার পর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জন তৃণমূল নেতা। আজ, মঙ্গলবার তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন।

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রাম দাসপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল। তাঁর চোখে আঘাত লেগেছিল। পরের দিন কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যারানি পাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। এরপর বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বর্ধমান ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক বাগ, ব্লকের যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য এবং রায়ান ১ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি শেখ জামাল-সহ ১৩ জনকে গত ২৪ মার্চ দোষী সাব্যস্ত করেন বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। কাকলিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পাশাপাশি ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশের কিছু দিনের মধ্যে জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কাকলি, কার্তিক, জামাল ও মানস। এই ৪ জনকেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কাকলির আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।