সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক ব্যক্তির দেহ। সবাই প্রস্তুত শেষকৃত্যের জন্য। ঠিক তখনই ঘটল মিরাকেল। হঠাৎ নড়ে উঠল মৃতদেহ! মুহূর্তে হইচই পড়ে যায় কোচবিহারের পাটাকুড়া এলাকায়। পরে অবশ্য চিকিৎসকরা ফের নিশ্চিত করেন, ওই ব্যক্তি সত্যিই মৃত।
ঘটনাটি ঘটেছে গুড়িয়াহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটাকুড়া গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম প্রদীপ সরকার। তাঁর বয়স প্রায় চল্লিশ। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই ১ অক্টোবর তাঁকে ভর্তি করা হয় কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Advertisement
এরপর হাসপাতাল থেকে প্রদীপের দেহ বাড়িতে আনা হয় এবং দুপুরে সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৎকারের আগে আত্মীয়রা শেষবার প্রদীপের মুখ দেখতে যান। ঠিক তখনই দেখা যায় তাঁর শরীর সামান্য নড়ছে! উপস্থিত সকলে হতভম্ব। কেউ চিৎকার করছেন, কেউবা অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। মুহূর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে।
Advertisement
ঘটনার পরপরই আত্মীয়রা আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত প্রদীপকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেন ইসিজি করে। কিন্তু তাতে স্পষ্ট হয়, প্রদীপ ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ‘এটি সম্ভবত মাংসপেশির স্বতঃস্ফূর্ত সঙ্কোচন, যা মৃত্যুর কিছু সময় পরেও ঘটে থাকতে পারে।’
যদিও এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তীব্র আলোড়ন। কেউ বলছেন ‘অলৌকিক’, কেউ বলছেন ‘চিকিৎসায় গাফিলতি’। পাড়ায় পাড়ায় এখন একটাই আলোচনা, সত্যিই কি মৃত মানুষ নড়ে উঠেছিলেন? নাকি এটি কেবল এক বিভ্রম?
স্থানীয় বাসিন্দা ভূপেন বর্মন বলেন, ‘আমরা নিজের চোখে দেখেছি, প্রদীপদার হাত কেঁপে উঠেছিল। এত লোক দেখেছে, ভুল দেখার প্রশ্নই আসে না!’ অন্যদিকে, চিকিৎসকরা বলছেন, এটি শারীরবৃত্তীয় কারণে ঘটতে পারে। মৃতদেহে কখনও কখনও অল্প সময়ের জন্য এমন নড়াচড়া দেখা যায়।
পুরো ঘটনায় পরিবারের সদস্যরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রদীপের ভাই বলেন, ‘প্রথমে মৃত ঘোষণা, তারপর আবার শ্মশানে দেহ নড়ে ওঠা, পরে আবার মৃত্যু নিশ্চিত করা, আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’
Advertisement



